হারিয়েছেন নিজের বাবা মাকে, রুদ্রনীলের জন্মদিন কাটল অনাথাশ্রমের খুদেদের সঙ্গে, উপহার দিলেন শীতবস্ত্র

বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি একাধারে অভিনেতা, আবার রাজ্যের বিরোধী দলের তারকা সদস্যও বটে। রাজনৈতিক থেকে সামাজিক ইস্যু, প্যারোডির ঢঙয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই সূক্ষ্ম কৌতুকের মোড়কে তুলে ধরেন তিনি। রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh), ৬ জানুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন। বয়স বাড়ল আরো এক বছর। কিন্তু বিশেষ দিনটায় রাজনৈতিক কচকচি থেকে দূরে সরে একদল খুদেদের সঙ্গে কাটিয়ে তিনি যেন বার্তা দিতে চাইলেন, দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি।

প্রতিবারই রুদ্রনীলের জন্মদিন কাটে একটু অন্য রকম ভাবে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে একঝাঁক খুদে বন্ধুদের সঙ্গে হই হুল্লোড় করে কাটালেন দিনটা। চলল খেলাধুলো, কেক কাটা থেকে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। বাইপাসের ধারে খোলা আকাশের নীচে ইউনিভার্সাল স্মাইল হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে রুদ্রনীলের জমজমাট জন্মদিনের সাক্ষী রইল বাংলা হান্ট।

rudranil ghosh

বাংলা হান্টকে রুদ্রনীল বলেন, ‘আমার বাবা মা নেই। জন্মদিনে সাধারণত মানুষ নিজের বাবা মা, আত্মীয়স্বজন, ঘনিষ্ঠ জনদের সঙ্গে সময় কাটায়। এই হোমের বাচ্চাদের অনেকের বাবা মা নেই, কারোর ছেড়ে চলে গিয়েছে। আমার মনে হয়েছে, ওদের সঙ্গে একটু কাটানো যাক। ওরা তো বেশি হোম থেকে বেরোতে পারে না। তাই পাঁচতারা ঝাঁ চকচকে হোটেলে না গিয়ে শীতের দিনে পিকনিকের মুডে দিনটা কাটালে কেমন হয়।’

রুদ্রনীল জানান, তাঁর দিনটা এই খুদেদের সঙ্গেই খেলে, আড্ডা দিয়ে কাটবে। ‘রোজগেরে আঙ্কল’ হিসাবে পুঁচকেদের জন্য জামাকাপড়, শীতবস্ত্রও কিনে এনেছেন রুদ্রনীল। তবে এই খুদেদের সঙ্গে সময় কাটানোর পেছনে একটা ‘স্বার্থ’ও কিন্ত রয়েছে রুদ্রনীলের। কচিকাঁচাদের সঙ্গে খেলতে খেলতে তিনিও যে ফিরে যান নিজের ছোটবেলায়। মনে হয় বয়সটা আরেকটু ক্ষণ ধরে রাখি। তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যেতে কে আর চায়?

Needed a film festival at this huge cost in the Corona atmosphere? Rudranil Ghosh

জন্মদিনের আগের রাতে একটি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন রুদ্রনীল। রাত ১২ টা বাজতেই সেটে কেক কেটে একপ্রস্থ উদযাপন হয়েছে। আর এদিন সকালে প্রথমেই শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এছাড়াও অভিনয় থেকে এবং দলমত নির্বিশেষেরাজনৈতিক জগতের সতীর্থরাও পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।

জন্মদিনেও রাজ্য সরকারকে প্রচ্ছন্ন খোঁচা মারতে ছাড়েননি রুদ্রনীল। বন্দে ভারত, আবাস যোজনা থেকে ডিএ ইস্যু তাঁর বক্তব্যে উঠে এল সবকিছুই। সঙ্গে রুদ্রনীলের আর্জি, নতুন বছর রাজনৈতিক দল মত রঙ ভুলে সকলে যেন একসঙ্গে বিনোদন জগতের জন্য কাজ করে। নন্দনে রুদ্রনীল, সায়নী ঘোষ, অনীক দত্ত, মিঠুন চক্রবর্তী, দেব এমনকি শতরূপ ঘোষ সিনেমা বানালে সেটাও যেন স্থান পায়। রঙহীন হোক রাজ্য সরকারি সিনেমা হল, আর্জি রুদ্রনীলের।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর