বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় পরপর ট্রোল, সমালোচনার শিকার হয়ে চলেছেন টলিউড (tollywood) তারকারা। নিজের মতামত প্রকাশের জন্য খুন ও ধর্ষণের লাগাতার হুমকির মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত (debolina dutta) ও সায়নী ঘোষ। এর প্রতিবাদেই সোমবার পথে নামেন টলিউডের শিল্পী সহ সাধারণ মানুষ। ছিলেন অভিনেতা থেকে শুরু করে গায়ক ও বুদ্ধিজীবীরা।
কিন্তু এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যাকে নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা চলছে সেই রুদ্রনীল ঘোষকে (rudranil ghosh) দেখা যায়নি কোথাও। প্রশ্ন উঠতে আনন্দবাজার ডিজিটালকে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিনেতা। কলকাতা পুলিস, সাইবার সেল এত সক্রিয় থাকতে পথে নামার দরকার পড়ল কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ ও খুনের হুমকির জন্য দেবলীনা ও সায়নী তো সাইবার সেলের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারতেন।
তবে কি তা করেও কোনো সমাধান মেলেনি? তাই বাধ্য হয়ে পথে নামা? প্রশ্ন রুদ্রনীলের। অর্থাৎ রাজ্যের শাসক দলকেই যে কটাক্ষ করলেন তিনি তা খুবই স্পষ্ট। তিনি আরো জানান, এই ধরনের কোনো প্রতিবাদ সভার আমন্ত্রণ তিনি পাননি। তাই যোগ দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।
তবে মহিলাদের প্রতি এই ধরনের অশ্লীল আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এর জন্য কঠোর শাস্তি প্রাপ্য, এমনটাই মনে করেন রুদ্রনীল। কিন্তু এসব কিছুর জন্য দায়ী কে? অভিনেতার প্রশ্ন, দেবলীনার মা কি কখনো ভেবেছেন দূর্গাপুজোর সময় গোমাংস রান্নার কথা? যে কথায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষরা আঘাত পায় সেকথা প্রকাশ্যে বলার প্রয়োজন কি? এতে শুধু বিজেপি সমর্থকরাই আহত হননি, সমস্ত ধার্মিক মানুষরাই আঘাত পেয়েছেন বলে বক্তব্য রুদ্রনীলের।
রুদ্রনীল আরো বলেন, নির্বাচনের আগে মানুষ একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর সেলফি পোস্ট করা নিয়ে চরম ট্রোলড হতে হয়েছিল রুদ্রনীলকে। কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। কারণ রুদ্রনীলের মতে, এসবই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সব মিটে গেলেই সবার কাছে ফের তিনি একজন অভিনেতা।