বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা আবহেই হচ্ছে উপনির্বাচন। খাস তালুক ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। শনিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের তরফে এ খবর পাওয়া মাত্রই উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল ভবনে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য উপনির্বাচনে তাঁকে জিতে আসতেই হত। আর সেই উপনির্বাচন ভবানীপুরেই হওয়ায় খুশির মেজাজ ঘাসফুল শিবিরে।
বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন সে সময় সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। তবে শোভনদেবের সামনে দাঁড়াতে পারেননি অভিনেতা। উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে আরেকবার ভাগ্যপরীক্ষা করবেন নাকি রুদ্রনীল?
সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেতার সাফ উত্তর, তাঁর প্রার্থী হওয়া বা না হওয়া তো অনেক পরের কথা। প্রথমত তিনি মনেই করেন না এই নির্বাচনে বিরোধিতার কোনো প্রয়োজন আছে বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে দেওয়া উচিত বলেই মনে করেন রুদ্রনীল। হঠাৎ এমন নরম সুরের কী কারণ?
রুদ্রনীলের বক্তব্য, গোটা রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা এখনো স্বাভাবিক হয়নি, স্কুল কলেজ বন্ধ। অর্থাৎ সরকারি হিসেবে করোনা পরিষেবাও এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এমতাবস্থাতে তো নির্বাচন হওয়াও উচিত নয়। কিন্তু তা তো হচ্ছে। উপরন্তু এত কেন্দ্র বাদ দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে। এত কিছু তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্যই, মত রুদ্রনীলের।
তাই যখন কারোর স্বার্থেই নির্বাচন হচ্ছে তখন এতে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো ব্যাপারই নেই। তাই রুদ্রনীল মনে করেন না মমতার বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রার্থী দেওয়া উচিত। বরং বিনা প্রতিদ্বন্দিতাতেই জিতে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার পাশাপাশি রুদ্রনীল এও বলছেন, বিজেপির তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটাই চূড়ান্ত।
সেক্ষেত্রে দল যদি রুদ্রনীলকেই প্রার্থী করে মমতার বিরুদ্ধে? রুদ্রনীলের কটাক্ষ, তাহলে ভবানীপুরে দুজন পরাজিত প্রার্থীর আবার জেতার জন্য লড়াই দেখবে রাজ্যবাসী। তবে রুদ্রনীলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, দলের সঙ্গে তাঁর প্রার্থী হওয়া বা না হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার বিজেপি কবে তাদের সিদ্ধান্ত জানায় সে অপেক্ষাতেই দিন গোনা শুরু রাজনৈতিক মহলের।