‘ভূতেদের রানী’র ‘ঢপের ঢেউ’! প্যারোডির ঠেলায় দিদির দূতকে ‘দুয়ারে ভূত’ বানিয়ে ছাড়লেন রুদ্রনীল

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে আর দফতরে দফতরে ঘোরার প্রয়োজন নেই। আমজনতার সুবিধার্থে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প ঘোষনা করেছিল রাজ্য সরকার। সেটা যে শেষমেষ নেটপাড়ায় মিমের খোরাক হয়ে উঠবে তা সম্ভবত ভাবেনি তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকার। এবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি নিয়ে ট্রোল করে ‘দুয়ারে ভূত’ (Duare Bhoot) বানিয়ে ছাড়লেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্যারোডি ভিডিও বানাতে রুদ্রনীলের জুড়ি মেলা ভার। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে প্যারোডি বাঁধতে দেখা যায় তাঁকে। দিদির দূত নিয়ে জেলায় জেলায় যে কাণ্ড কারখানা চলছে তা দেখে কটাক্ষ করার লোভ সামলাতে পারেনি রুদ্রনীল। প্যারোডির ছত্রে ছত্রে খোঁচা মেরেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।

Rudranil

‘ভূতেরা ঘুরছে বাংলা জুড়ে’, প্যারোডি কবিতার শুরু থেকেই ব্যঙ্গের মুডে রুদ্রনীল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখেই জেলাস্তরে সাধারণ মানুষ, কর্মীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রী, সাংসদ, বিধায়করা। দেখেশুনে রুদ্রনীলের কটাক্ষ, পঞ্চায়েতের জল মাপতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে ভূতেরা।

নাম না করেই রুদ্রনীল বলেন, ‘ভূতেদের রানী দিয়েছিল বাণী উন্নয়নের ঢেউ, ঢপের ঢেউয়ে ডুবেছে সবাই বাকি পড়ে নেই কেউ’। ‘দিদির দূত’ হয়ে বাংলার বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।

সম্প্রতি বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের কাণ্ডতে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে খেতে বসে সাজানো থালার ছবি তুলে কিছু না খেয়েই উঠে পড়েন তিনি। সেই ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি রুদ্রনীল। যতই থালা সাজিয়ে দেওয়া হোক না কেন, না খেয়েই উঠে পড়বেন তারা, বিদ্রুপ বিজেপি নেতার।

অতীতে রুদ্রনীলের ‘বেণীমাধব’ আর ‘দুয়ারে গর্ত’ প্যারোডি বেশ ভাইরাল হয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি আর ‘অপা’ কাণ্ডে নোটের স্তূপ উদ্ধার নিয়ে বলে বলে গোল দিয়েছিলেন তিনি রাজ্য সরকারকে। রুদ্রনীলের এই প্যারোডি সিরিজ যে চলতেই থাকবে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর