দালালি ছেড়ে মুখ খুলুন, ‘লেজ নাড়ানো’ বুদ্ধিজীবীদের ধুয়ে দিলেন রুদ্রনীল

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) বাংলা জুড়ে যে ত্রাসের সঞ্চার হয়েছিল তা এখনো কাটেনি। কিছু কিছু জায়গায় পুন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও অনেক জায়গা থেকেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের খবর মিলেছে। জেলায় জেলায় বোমাবাজি, প্রকাশ্য রাস্তায় বন্দুক উঁচিয়ে হাঙ্গামার দৃশ্য দেখেছে রাজ্যবাসী। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা মাথা হেঁট করে দিয়েছে সকলের। কিন্তু এতকিছুর পরেও অদ্ভূত ভাবে চুপ বুদ্ধিজীবীরা। এই অস্বস্তিকর নীরবতাকে এবার ধিক্কার দিয়ে উঠলেন রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

ভোটের দিন কার্টুন এঁকে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির এই তারকা সদস্য। এবার নিজের প্যারোডি অস্ত্রে বুদ্ধিজীবীদের বিঁধলেন তিনি। রাজনৈতিক থেকে সামাজিক, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বুদ্ধিজীবী সমাজের লেখক, কবি, শিল্পীদের সুর চড়াতে দেখা যায়। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে নির্বাচনে এমন নৃশংসতার সাক্ষী থেকেও মুখে তালাচাবি দিয়ে রেখেছেন অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী।

Rudranil ghosh slammed intellectuals

এই নীরবতার কারণ কী? আমজনতার হয়েই প্রশ্নটা ছুড়ে দিয়েছেন রুদ্রনীল। দেদারে ছাপ্পার পাশাপাশি চলেছে ধমকানো চমকানো। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজিতে গিয়েছে একের পর এক প্রাণ। অধিকাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাই মেলেনি। রাজ্য জুড়ে রক্তের হোলি খেলা দেখেও চুপ মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই মনের জমে থাকা ক্ষোভ ঝরে পড়েছে রুদ্রনীলের। বুদ্ধিজীবীদের ‘দালাল’ বলতেও ছাড়েননি তিনি।

তাঁর প্রশ্ন, সবটা জেনেশুনেও চুপ করে আছেন কেন বুদ্ধিজীবীরা? পেটে লাথি পড়ার ভয়ে শিরদাঁড়াটাও কি বেচে দিয়েছেন? মুখ খুললেন ভাতা, পুরস্কার বন্ধ হয়ে যাবে বলেই কি ‘নীরবতাই শ্রেয়’ মন্ত্র আপন করেছেন? বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন রুদ্রনীলের।

সময় এবং বিষয় বিশেষে মুখ খোলা নিয়ে এমনিতেই আমজনতার চক্ষুশূল বুদ্ধিজীবীরা। বহুবার সমালোচনার শিকার হয়েছেন তারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশিরভাগই হয় মুখে কুলুপ এঁটেছেন, নয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এই ‘গা বাঁচানো’ পন্থা নিয়ে যে বেশিদিন চলবে না সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রুদ্রনীল।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর