তৃণমূলের প্রচারে লোক ঠকানোর হাতিয়ার মাত্র, ‘প্রজাপতি’ বিতর্কে দেবকে খোঁচা রুদ্রনীলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদুনিয়ায় কিছু না কিছু নিয়ে বিতর্ক চলেই। টলিউডে এখন বিতর্কের অপর নাম ‘প্রজাপতি’ (Projapoti)। দেব (Dev) এবং মিঠুন চক্রবর্তীর নতুন ছবি প্রায় সর্বত্র মুক্তি পেলেও জায়গা পায়নি নন্দনের মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। বিতর্ক থামাতে দেব একটি টুইট করলেও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। বরং অভিনেতা তথা বিজেপির তারকা সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) কটাক্ষ শানিয়েছেন দেব এবং রাজ্যের শাসক দলের উদ্দেশে।

তৃণমূলকে ধিক্কার জানিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ক্ষমতার ব্যাভিচার করা হচ্ছে। সিনেমার গায়ে লাগছে রাজনীতির রঙ। আদালত ধিক্কার দিলেও এরা বিচারকের দিকেই আঙুল তোলে। রাজ্য সরকারকে দু কান কাটা বলে কটাক্ষ করে রুদ্রনীলের ক্ষোভ, ভারতের গর্ব মিঠুন চক্রবর্তীকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ডাকাও হয়নি। এবার তাঁর ছবিও নন্দনে চলতে দেওয়া হল না।

mithun projapoti
প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির হয়ে মিঠুনের সক্রিয়তা, তৃণমূলের প্রতি তাঁর কটাক্ষের জেরেই কি নন্দনে ব্রাত্য থাকল প্রজাপতি? সেই প্রশ্নটা আরেকটু উসকে দিয়েছেন রুদ্রনীল। একই ছবিতে তৃণমূলের সাংসদ দেব থাকা সত্ত্বেও সিদ্ধান্তে কোনো হেরফের হল না। রুদ্রনীলের খোঁচা, দেবের মতো তারকারা দলের নির্বাচনী প্রচারে স্রেফ লোক ঠকানোর হাতিয়ার।

রুদ্রনীল মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘অপরাজিত’ ছবিটি ব্যাপক সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও, ছবিতে তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ থাকা সত্ত্বেও তা নন্দনে জায়গা পায়নি। কারণ ছবির পরিচালক ছিলেন অনীক দত্ত, যিনি জোর গলায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।

রুদ্রনীলের কথায়, দেশের কোনো রাজ্যে কোনো রাজনৈতিক দল এতটা নির্মম না। কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। তৃণমূলের এখন তেমনি অবস্থা বলে কটাক্ষ অভিনেতার।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর