বাংলাহান্ট ডেস্ক: তৃণমূলের (Trinamool Congress) যারা বেশি নিন্দা করছেন, সেই সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে! কামারহাটিতে সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Roy) আক্রমণে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। উপর্যুপরি দুই হেভিওয়েট সদস্যের গ্রেফতারিতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। এর মধ্যেই সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্য বিরোধী তথা রাজ্যবাসীর ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতিই দিল বলা যায়।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। রাজ্যের এই সরগরম পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য কতটা সমীচীন বলে মনে করছেন শিল্পী মহল? টিভিনাইনের প্রশ্নে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি আপাতত জয়পুরের জঙ্গলে বৃষ্টি উপভোগ করতে ব্যস্ত। সৌগত রায়কে এখন কোনোমতেই গুরুত্ব দিতে পারবেন না।
শিল্পী কবীর সুমনকে ফোন করা হলে তিনি নাকি এক মিনিট ধরে গান শুনিয়েছেন! কিন্তু সৌগত রায়ের কথা শুনতেই বলেছেন, সঙ্গীত সম্পর্কিত বিষয়ের বাইরে কিছু নিয়েই কথা বলতে রাজি নন। অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদার বলেন, নেতাদের মুখে এমন কথা অনেক শুনেছেন। কিন্তু তিনি কখনোই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য আগেও করেননি, আর এখনো করতে চান না।
বিজেপির তারকা সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ মাঝেমধ্যেই প্যারোডি খোঁচা দেন রাজ্যের শাসক দলকে। সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, নীচুতলার কর্মীদের দাঁত নখ আগেই বেরিয়ে এসেছিল। উঁচুতলার সদস্যরা এবার বের করছেন। রবীনা ট্যান্ডনের সঙ্গে কোমর দুলিয়েই নিজের রুচি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। রুদ্রনীল বলেন, এঁরা ভয় পেয়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে কামড় বসাতে চাইছে।
নিন্দা করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। তিনি বলেন, “কতিপয় চটিচাটা ছাড়া সবার গায়ের চামড়া দিয়েই তাহলে জুতো বানাতে হবে! তাপস পালও এর আগে এমন বলেছিলেন। এগুলো হচ্ছে খুনি মস্তানদের ভাষা। মানুষ দেখুক কাদের কাদের ভোটে জিতিয়ে এনেছে!”