বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়ালে হার নিশ্চিত, সেটা জেনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) পালিয়েছেন। বিজেপির (bjp) হয়ে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনা হতেই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। রুদ্রনীল বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শোরগোল কম হয়নি। আগে থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে এক রকম নিশ্চিতই ছিলেন সকলে। তবে হাওড়ার শিবপুর থেকে নয়, রুদ্রনীল প্রার্থী হলেন ভবানীপুর কেন্দ্রে।
তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে খুব একটা চিন্তিত নন রুদ্রনীল। তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুরে হার নিশ্চিত জেনেই নন্দীগ্রাম পালিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রের অবস্থা তিনি নিজেই খারাপ করে দিয়ে গিয়েছেন।
ভবানীপুর কেন্দ্রের একাধিক সমস্যা উল্লেখ করে এদিন তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগেন অভিনেতা। ভবানীপুরে জেলের সমস্যা, নিকাশি ব্যবস্থার শোচনীয় হাল, তোলাবাজির মতো সমস্যার কথা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। তবে তিনি এও বলতে ভোলেন না, তিনি জিতলে সব সমস্যারই সমাধান করবেন।
এর আগেও বারে বারে রাজনৈতিক রঙ বদলানো নিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন রুদ্রনীল। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, বামপন্থীরা রাজনীতি করতে গিয়ে বামপন্থা ভুলে গিয়েছেন। সেই কারণে দল ছেড়েছিলেন বটে কিন্তু মানসিকতা পালটাননি। তৃণমূলের উপর প্রথমে ভরসা করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখেন সেখানেও দুর্নীতি। তাই শেষমেষ গেরুয়া শিবিরে রুদ্রনীল।
ভবানীপুর থেকে ভোটে লড়া নিয়ে রুদ্রনীল বলেন, শিবপুরের তুলনায় ভবানীপুরে লড়াই অনেক কঠিন। যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং এই কেন্দ্র। আর সেটাই তাঁকে করে দেখাতে হবে। শিবপুরে দাঁড়ালে অনেক চেনাজানা মানুষের সঙ্গে দেখা হতো। কিন্তু ভবানীপুরে প্রার্থী করাটা দলের সিদ্ধান্ত বলে জানান রুদ্রনীল।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা