বাংলাহান্ট ডেস্ক : বারবার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়েই এত বড় সিদ্ধান্তটা নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? খবরটা পাওয়া ইস্তক নাকি কেঁদেই যাচ্ছেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। সোমবারই সন্দেশখালির সভা থেকে কলকাতার স্টার থিয়েটারের নাম বদল করে বিনোদিনী দাসীর নামে করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই চোখের জল থামাতে পারছেন না রুক্মিণী (Rukmini Maitra)।
মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আপ্লুত রুক্মিণী (Rukmini Maitra)
পর্দায় তিনি বাংলা নাট্য জগতের খ্যাতনামা অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসী। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘বিনোদিনী: এক নটীর উপাখ্যান’, যেখানে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রুক্মিণী (Rukmini Maitra)। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর এত বড় ‘উপহার’! আপ্লুত অভিনেত্রী ধরে রাখতে পারছেন না আবেগ। দ্য ওয়াল এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কখন কী হবে তা বোধহয় আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। খবরটা যখন থেকে শুনেছেন তখন থেকে কেঁদেই যাচ্ছেন তিনি। একই অবস্থা তাঁর মায়েরও।
বিনোদিনীকে নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী: রুক্মিণী (Rukmini Maitra) এও জানান, নাম পরিবর্তনের আর্জি তিনি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু তিনি যে এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন তা তিনি ভাবতেই পারেননি। খবরটা পাওয়ার পর থেকে নাকি তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রচুর মেসেজ করেছেন ‘দিদি’কে। বিনোদিনী দাসী সম্পর্কে রুক্মিণী (Rukmini Maitra) বলেন, ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে যেদিন থেকে তাঁর সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, বারবার মনে হয়েছে যে এই বাংলার বুকে খুব বড় অপরাধ ঘটে গিয়েছে তাঁর সঙ্গে। স্টার থিয়েটার বিনোদিনীর অবদান হওয়া সত্ত্বেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যোগ্য সম্মান পাননি তিনি।
আরো পড়ুন : STF-এর সফল অভিযানে ধৃত আরও এক জঙ্গি! রয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাথে যোগ? কী জানাল পুলিশ?
নারী হিসেবে গর্বিত তিনি: রুক্মিণীর (Rukmini Maitra) কথায়, ভারত স্বাধীনতার পরও নিজের যোগ্য সম্মান পাননি বিনোদিনী। অবশেষে এত বছর পর ২০২৪ শেষ লগ্নে এসে নিজের প্রাপ্যটা পেলেন তিনি। রুক্মিণী (Rukmini Maitra) বলেন, বিনোদিনীর জীবনী চিত্রে তিনি অভিনয় করছেন বলে নয়, একজন নারী হিসেবে তিনি গর্বিত।
আরো পড়ুন : শ্বশুরের বাহুলগ্না, শাশুড়ির সঙ্গেই “খিটিমিটি”! জয়ার জন্যই অশান্তি অভিষেক-ঐশ্বর্যর সংসারে?
উল্লেখ্য, বিনোদিনীর স্বপ্ন ছিল উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটের স্টার থিয়েটার এর নামকরণ হবে তাঁর নামে। কিন্তু সে সময়কার পুরুষশাসিত সমাজে একজন নারীর এমন ইচ্ছা, উপরন্তু সে আবার ‘নটী’, সকলে তা স্পর্ধা রূপেই দেখেছিল। ১৯২৮ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ তৈরি হওয়ার সময়ে সেই স্টার থিয়েটার ভাঙা পড়ে। আজকের হাতিবাগানের স্টার থিয়েটারের সঙ্গে বিনোদিনীর সেই অর্থে কোনো যোগ না থাকলেও বিধান সরণির স্টার থিয়েটার তাঁর নামে নামকরণ হওয়ায় শেষমেষ নিজের প্রাপ্য সম্মান পেলেন নটী বিনোদিনী।