এবার খোদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ, রুল জারির আর্জি! নেপথ্যে কে?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)! এই প্রসঙ্গ উঠতেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশার আলো যোগায় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নাম। বিগত কিছুমাস ধরে রাজ্যে জমে থাকা একের পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দিচ্ছেন তিনি। রাজ্যের বহু মানুষের কাছে সেই মানুষটি ভগবান সমান। তবে এবার খোদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, বিচারপতি গঙ্গপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রুল জারির দাবি তুলেছেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি (Mukul Rohtagi)। বিচারাধীন মামলায় বিচারপতির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল সর্বোচ্চ আদালতে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি মামলার সূত্রে সওয়াল করতে গিয়ে এই দাবি তোলেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল তথা আইনজীবী মুকুল রোহতগি।

   

প্রসঙ্গত, বিগত কিছুমাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। সেই চাকরি প্রার্থীদেরই একাংশ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। এই সকল প্রার্থীদের আইনজীবী হিসেবে রোহতগি এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন। তার অভিযোগ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কাওকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই পাঁচ হাজার লোকের চাকরি খারিজ করেছেন। কিভাবে তিনি একজোটে এতজনের চাকরি বাতিল করলেন সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

justice ganguly

এখানেই শেষ নয়, একজন বিচারপতি তার অধীনে থাকা একটি মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগে কিভাবে প্রেস কনফারেন্স করে নিজের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন, সেই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়। বুধবার আইনজীবী রোহতগি বলেন, “বিচারপ্রতি প্রত্যেকদিন টিভিতে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। তিনি আর কখনও এ কেস শুনতে পারেন না। এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি শুনানি করছেন আর হাজার হাজার মানুষের চাকরি যাচ্ছে প্রত্যেকদিন। এটা কি চলছে? এটা কখনও চলতে পারে না।”

আইনজীবীর কথা শুনে বিচারপতি বলেন, অনিরুদ্ধ বসু বলেন, “কাদের চাকরি গিয়েছে? কীভাবে চাকরি গিয়েছে? সেসব খতিয়ে দেখতে হবে।” যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত কোনো পদক্ষেপের কথা বলেননি। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ এপ্রিল।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর