মাঝ রাস্তায় তেল শেষ হয়ে গেলেও আর চিন্তা নেই, এই তিনটি ট্রিক্স জানা থাকলে তড়তড়িয়ে ছুটবে গাড়ি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝ রাস্তায় বাইকে তেল ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই চরম বিপত্তিতে পড়েন। এমনকি, তখন কোনো উপায় না পেয়েই বাইক ঠেলতে ঠেলতে পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত যেতে হয় চালকদের। এই দৃশ্য আমরা প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত, তাড়াহুড়োয় বাইক নিয়ে বেরোনোর ক্ষেত্রে কিংবা বাইকে পরিমান মত তেল আছে কি না তা পরীক্ষা না করে বেরিয়ে পড়লেই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। যদিও, কখনও কখনও আবার যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেও এই ঘটনা ঘটে যায়।

তবে, এবার কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করলেই মাঝ রাস্তায় বাইকের তেল ফুরিয়ে গেলেও নিশ্চিন্তে পাড়ি দেওয়া যাবে বহু কিলোমিটার পথ। হ্যাঁ, শুনতে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। পাশাপাশি, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব। যেই টিপসগুলি অবশ্যই জেনে রাখা উচিত বাইক চালকদের।

বাইকের চোক ব্যবহার করুন: যদি বাইক থেকে পেট্রোল ফুরিয়ে যাওয়ার সংকেত আসতে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই মনোযোগ দিতে হবে মোটরসাইকেলের চোকের দিকে। পেট্রোল ফুরিয়ে যাওয়ার পর যদি আপনি মোটরসাইকেল বা স্কুটার থামিয়ে দেন, সেক্ষেত্রে আগে চোক ব্যবহার করুন। চোক ব্যবহার করলে গাড়ির অতিরিক্ত কিছু পেট্রোল ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে বাইকটি চালু হয়। এমতাবস্থায়, বাইকটি চালু হওয়ার পর আপনি অবিলম্বে নিকটস্থ পেট্রোল পাম্পের দিকে অগ্রসর হতে পারবেন। যদিও, অনেক বাইকে আবার এই সুবিধা থাকে না। তবে, সেগুলির ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করা যেতে পারে।

পেট্রোলের ট্যাঙ্কে প্রেশার তৈরি করতে হবে: পেট্রোল ট্যাঙ্কে প্রেশার তৈরির মাধ্যমেও বাইক স্টার্ট করা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে আপনার বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কটিতে ফুঁ দিতে হবে। অনেক সময়ে এই ফুঁয়ের কারণেই গাড়ি স্টার্ট হয়ে যায়।

maxresdefault 9

বাইকটি সাইড স্ট্যান্ডের মাধ্যমে কাত করতে হবে: অনেক সময় বাইকে পেট্রোল কম থাকায় তা ট্যাঙ্কের একটি দিকে এসে থেমে যায়। সেক্ষেত্রে, তেল ইঞ্জিনে পৌঁছতে সক্ষম হয় না। যদি কখনও আপনার বাইকের পেট্রোল ফুরিয়ে যায়, তবে কয়েক মিনিটের জন্য সেটিকে সাইড স্ট্যান্ডের মাধ্যমে দাঁড় করিয়ে রাখুন। এর ফলে ট্যাঙ্কের পাশে থাকা পেট্রোল ইঞ্জিনে পৌঁছে যাওয়ায় বাইকটি স্টার্ট হয়ে যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর