প্রফেট মহম্মদের ছবিতে কন্ডোম পরিয়ে পোস্ট করতে পারবে সায়নী? প্রশ্ন ছুঁড়লেন রূপাঞ্জনা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সায়নী ঘোষ (sayani ghosh) ও দেবলীনা দত্তকে (debolina dutta) নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক যেন থামার নামই নিচ্ছে না। শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানোর ছবি পোস্ট করায় ও সর্বসমক্ষে দূর্গাপুজোর নবমীতে গোমাংস রান্না করার কথা বলায় সোশ‍্যাল মিডিয়ায় কার্যত তুলোধনা করা হচ্ছে সায়নী দেবলীনাকে। জুটছে একের পর এক খুন গণধর্ষনের হুমকি। এমনকি প্রকাশ‍্য সভায় পরোক্ষে ‘যৌনকর্মী’ বলেও কটাক্ষ করা হচ্ছে সায়নীকে।

রাজনৈতিক তথা শিল্পী মহলে এটাই এখন জ্বলন্ত ইস‍্যু। আর এই ইস‍্যু নিয়েই কলম ধরলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি (bjp) নেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র (rupanjana mitra)। তাঁর আফশোস, রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে দু ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি। জোর গলায় তিনি বললেন, দেবলীনা ও সায়নীর সঙ্গে যা হয়েছে তা একশোবার অন‍্যায়। নিজের মতামত প্রকাশ করলে, পছন্দ মতো পোশাক পরলেই অকথা কুকথা শুনতে হচ্ছে শিল্পীদের, যা একেবারেই উচিত নয় বলেই মত রূপাঞ্জনার।


সেই সঙ্গে তিনি এও জানালেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পরেই তিনি নিজেও হুমকির শিকার হয়েছিলেন। খুন ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আর এই সব হুমকি দেওয়ার জন‍্য তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সোশ‍্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছিলেন তিনি।

তবে তিনি ইন্ডাস্ট্রির হয়ে কাজ করার জন‍্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান রূপাঞ্জনা। পাশাপাশি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষছর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, কেউ যদি কিছু পাওয়ার আশায় বিজেপিতে যোগ দেয় তাহলে ভুল করবে। শিল্পীদের ‘বাঁদরনাচ’ নাচা নিয়ে বললে বা মহিলাদের অসম্মান করলে যেকোনো রাজনৈতিক পার্টির বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছেন রূপাঞ্জনা। একজন মানুষ হিসাবে যদি তাঁকে প্রতিবাদ সভায় ডাকা হত তাহলে তিনি অবশ‍্যই যেতেন বলে জানান অভিনেত্রী।

তবে তাঁর সাফ বক্তব‍্য, নিজের বাড়িতে বা অন‍্য কারোর বাড়িতে গিয়ে নবমীতে গোমাংস তিনি রাঁধবেন না। নিজেকে ‘লিবারাল’ দেখাতে নিজের ধর্মকেই ছোট করা হচ্ছে বলে মন্তব‍্য করেন অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গেই সায়নীকে তাঁর প্রশ্ন, প্রফেট মহম্মদের ছবিতে কন্ডোম পরিয়ে পোস্ট করতে পারবেন তো তিনি?


পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের বক্তৃতার সময়ে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানেরও তীব্র নিন্দা করলেন রূপাঞ্জনা। তবে তাঁর মতে মুখ‍্যমন্ত্রী চাইলেই বক্তৃতা দিতে পারতেন সেদিন। তাতে অন্তত পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভাল দৃষ্টান্ত রাখতে পারা যেত বলে মন্তব‍্য করেন রূপাঞ্জনা।

X