বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েকটা মাস যেন বিভীষিকার মতো কেটেছে গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi)। কেকে সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়ককে শাস্তি দেওয়ার ভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিলেন নেটনাগরিকরা। রূপঙ্কর তো বটেই, ছাড়া পাননি তাঁর স্ত্রী, মেয়েও। লাগাতার কটুক্তি শুনতে শুনতে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন রূপঙ্কর।
বিতর্কের জের এখনো সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়ে যায়নি। এখনো কোনো পোস্ট করলেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় গায়ককে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রূপঙ্কর সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলো সম্পর্কে মুখ খোলেন। গায়কের গোটা পরিবার ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতেন।
রূপঙ্কর বলেন, যেদিন তাঁর প্রয়াত মাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হল সেদিন সারা রাত ঘুম আসেনি তাঁর। মনে হয়েছিল, ভাগ্যিস মা আর নেই। নাহলে এই কষ্ট সহ্য করতে পারতেন না। তাঁর দত্তক নেওয়া মেয়েকেও আক্রমণ করেছিলেন। মেয়ের কাছে বাবার সম্পর্কে কটুক্তি করা হয়েছিল।
সমালোচক, ট্রোলারদের উদ্দেশে রূপঙ্কর বলেন, ভগবান তাঁদের ভাল করুন। তারা সুস্থ হন। যারা এগুলো করছেন তারা করবেন না। একটা মেয়ের কাছে বাবার সম্পর্কে এগুলো শোনা খুব কষ্টকর। যারা বলছেন তাদেরও তো ছেলেমেয়ে আছে, ভাইবোন আছে। তাদের কথা ভাবলে আর এসব বলতে ইচ্ছা করবে না।
রূপঙ্কর আরো বলেন, ওই সময়ে নিজের স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর মেয়ে মেট্রো করে স্কুলে যায়। তার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন রূপঙ্কর। তাই বাধ্য হয়ে টালা থানায় নিরাপত্তা চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ক্রমাগত কটুক্তি, অশ্লীল মন্তব্য শুনতে শুনতে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মনোবিদের দ্বারস্থও হতে হয়েছিল রূপঙ্করকে। কিন্তু ওষুধ খেয়ে ঘুম আসত। তাই চিকিৎসা মাঝপথেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হন গায়ক।