বাংলাহান্ট ডেস্ক: কাউকে ভাইরাল করার জন্য একটি ভিডিওই যথেষ্ট। একটি মাত্র ভিডিওর জোরেরে কেউ নেটিজেনদের বাহবা কুড়াতে পারেন। আবার একটি ভিডিওর জেরেই সটান মাটিতে আছাড়ও খেতে পারেন। গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। কেকে নিয়ে একটি মাত্র বিষ্ফোরক ভিডিও। তারপর থেকেই এক লহমায় বদলে যায় রূপঙ্করের জীবন।
রূপঙ্করের জনপ্রিয়তা ছিল চিরদিনই। তাঁর গান উসকে দেয় নস্টালজিয়া। কিন্তু এখন বিষয়টা অন্য রকম। ক্রমাগত খুনের হুমকি পাচ্ছেন রূপঙ্কর ও তাঁর পরিবার। এমনকি ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে গায়কের বর্ষীয়ান মাকেও! বাধ্য হয়ে সর্বত্র দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে ঘোরাফেরা করছেন রূপঙ্কর।
কিছুদিন আগে কেকে বিতর্কের পর প্রথম বার জনসমক্ষে এসে স্টেজ শো করেন তিনি। সেখানেও গিয়েছিলেন দেহরক্ষী নিয়ে, পুলিসি প্রহরায়। এমনকি স্টার জলসার ‘ইসমার্ট জোড়ি’র শুটিংয়েও দেহরক্ষী নিয়ে আসেন রূপঙ্কর।
৩১ মে ভাইরাল হয়েছে রূপঙ্করের ভিডিও। কেকে মারাও যান সেদিন। শুরু হয় বিতর্ক। তার পর দুদিন ছিল ইসমার্ট জোড়ির শুটিং। ১ ও ২ তারিখ দেহরক্ষী নিয়ে সেটে পৌঁছেছিলেন রূপঙ্কর। ইসমার্ট জোড়ির প্রতিযোগী তথা অভিনেতা সৌরভ সাহা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এর আগে রূপঙ্করকে কখনো বাউন্সার বা দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করতে দেখেননি।
তিনি এও বলেন, তাঁর মনে হয় এই বিতর্কের জন্য রূপঙ্কর অন্য প্রতিযোগীদের চোখের দিকে তাকাতে লজ্জা পাচ্ছেন। সস্তার প্রচারের জন্য গায়ককে ভিলেন বানানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন পর্দার ‘গদাধর’।
আরেকজন প্রতিযোগী নাম গোপন রাখার শর্ত দিয়ে বলেন, রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী চৈতালী খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বারবার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছেন গায়ক। তিনি হয়তো ভাবতেও পারেননি যে একটা ভিডিওর জেরে এতকিছু হবে। ওই প্রতিযোগী আরো বলেন, সেদিন যদি কেকে অনুষ্ঠানের পর মুম্বই ফিরে যেতেন তাহলে বিষয়টা এতদূর গড়াত না। তবে দূরে ঠেলে দেওয়ার বদলে রূপঙ্কর চৈতালীর যত্নই করা হচ্ছে চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থার তরফে।