বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) চূড়ান্ত দুরবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে রাশিয়া (Russia)। তাদের তেলের ঘাটতি মেটাতে এগিয়ে এসেছে পুতিনের দেশ। যদিও রাশিয়ার মতে, পাকিতান এই চুক্তিকে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাকিস্তানকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ (Crude Oil) করতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এর জন্য তাদের একটি শর্তও দিয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, রাশিয়ার থেকে প্রথমে এক কার্গো ইউনিট অপরিশোধিত তেল কিনতে হবে পাকিস্তানকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল অনেকটাই ভারী হয়। পাকিস্তানের কাছে তার শোধন করার মতো প্রযুক্তি নেই। তাই ঘাটতি মেটাতে পাকিস্তানকে মিশ্রিত অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করবে রাশিয়া। আগামী এপ্রিলের মধ্যেই রাশিয়ার থেকে এক কার্গো ইউনিট তেল পেতে পারে পাকিস্তান। ভবিষ্যতে তেল সংক্রান্ত আরও বড় চুক্তির জন্য দু’দেশের মধ্যে রাস্তা খুলে দিল এই চুক্তি।
কিন্তু পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার একেবারে তলানিতে। এই অবস্থায় কী ভাবে রাশিয়াকে তারা তেলের দাম মেটাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, এর আগেও একটি বিদেশি সংস্থা রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে পাকিস্তানের শোধনাগারে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাঙ্কগুলি টাকা দিতে অস্বীকার করে। বিদেশি মুদ্রার ঘাটতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা,
তবে রাশিয়া ডলার ছাড়াও অন্য তিন ধরনের মুদ্রায় তেলের দাম নিতে রাজি হয়েছে। তেলের দাম রুবল, ইয়েন অথবা ধিরম দিয়ে মেটাতে পারে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তান ও রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এর জন্য তিন ধরনের মুদ্রার লেনদেনের প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করছে। সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে একটি নতুন সরকার অধীনস্থ সংস্থা খুলতে চাইছে পাকিস্তান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার তেলের দামের উপর একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমী দেশগুলি।
তারা ঠিক করেছে, সমুদ্রপথে আমদানিকৃত রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে না। রাশিয়ার থেকে এই দামেই তেল আমদানি করতে চায় পাকিস্তান। কিন্তু রাশিয়া এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে দেন যে এই দামে তেল রফতানি করা হবে না। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে এখনও তেলের দাম চূড়ান্ত করেনি রাশিয়া। তবে দু’তরফের আলোচনা চলছে। শীঘ্রই তেলের দাম চূড়ান্ত করে ফেলা হবে।