সুর নরম রাশিয়ার, ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলতে প্রতিনিধি পাঠাতে প্রস্তুত পুতিন সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে সুর নরম করতে বাধ্য হল রাশিয়া। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই লাভরভ জানিয়েছেন ইউক্রেনের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রাশিয়া।

ন্যাটো এবং আমেরিকার চোখ রাঙানি সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। দেড় দিনেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই কার্যত তছনছ ইউক্রেন। দেশটির তিন দিক থেকে ঘিরে ধরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর খারকিভ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের দখল নেই রুশ সেনা। আকাশ পথে মুড়ি মুড়কির মতন চলে বোমাবর্ষণ। আক্রমন হানা হয় স্থলপথেও। শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই রাজধানী শহর কিয়েভ দখলের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছায় পুতিনের বাহিনী। এরই মধ্যে পালটা আক্রমন চালায় ইউক্রেন সেনাও। রাশিয়াতে ঢুকে আক্রমণ চালায় তারা। ধ্বংস করা হয় রুশ সেনার সাঁজোয়া গাড়ি, যুদ্ধ বিমান, ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার।

ukraine attack victim

এর মধ্যেই রাশিয়ার উপর চাপ বাড়ায় অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি। রাশিয়াকে হাতে নয়, ভাতে মারার লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বন্ধ করে আমেরিকা। ইউক্রেনকে সাহায্যের জন্য সেনা পাঠাতে প্রস্তুত ইতালি। প্রথমে সেনা পাঠাতে অস্বীকার করলেও বর্তমানে রোমানিয়াতে যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করেছে আমেরিকাও। গতকাল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী।

war pic

এই সমস্ত কিছুর পর বর্তমানে খানিক সুর নরম করল রাশিয়া। ইউক্রেন সেনা অস্ত্র পরিত্যাগ করলে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তারা এমনটাই জানানো হল রুশ বিদেশমন্ত্রকের তরফে। কিন্তু কিছুতেই হাল ছাড়বে না দেশবাসীকে এমন বার্তাই দিয়েছিল ইউক্রেন। দেশের নাগরিকদের হাতে কয়েক হাজার আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দিয়েছে ইউক্রেন সরকার। এহেন অবস্থায় কী প্রতিক্রিয়া হবে ইউক্রেনের তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেন। এই প্রসঙ্গে অবশ্য এখনও অবধি পুতিন বা জেলেনস্কি কারও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর