বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেনের উপর যেকোনও সময় ভয়ংকর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে রাশিয়া। এবার তা নিয়েই মারাত্মক উদ্বেগের মুখে ন্যাটো। প্রায় এক মাস ধরে ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ভ্যাকিয়ুম বোমার মতন বিভিন্ন মারাত্মক বোমা থেকে শুরু করে নানা অত্যাধুনিক মিসাইল সবই ব্যবহার করে ফেলেছে তারা। কিন্তু এবার রাসায়নিক যুদ্ধের দিকেই হাঁটতে চলেছেন পুতিন এমনটাই দাবী ন্যাটোর। মঙ্গলবার সদস্য দেশগুলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার আগে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ন্যাটোর সাধারণ সম্পাদক জেন্স স্টোলেনবার্গ।
এদিন স্টোলেনবার্গ বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে মস্কো ভুয়ো সামরিক অভিযানের আড়ালে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেনের উপর। এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সরর্ক রয়েছি আমরা। যদি রাশিয়া হামলা চালায় তাহলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ভারী মূল্য চোকাতে হবে তাদের। এত সহজে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙতে পারে না তারা।’
কিছুদিন আগেই রাশিয়া অভিযোগ তোলে যে রাসায়নিক অস্ত্র মজুত এবং তৈরি করছে ইউক্রেন। এই কাজে তাকে মদত দিচ্ছে ন্যাটো। এই অভিযোগ অস্বীকার করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু রাশিয়া যদি ইউক্রেনে রাসায়নিক আক্রমণ চালায় তাহলে কি ন্যাটোর সৈন্য পাশে দাঁড়াবে ইউক্রেনের? সেই ব্যাপারে অবশ্য কোনও কথাই বলেননি তিনি। রাশিয়ার আক্রমণে উত্তাল বিশ্ব রাজনীতি। একপ্রকার বিনা কারণেই ইউক্রেনের উপর হামলা চালায় রাশিয়া। সেই আক্রমনের আঁচ থেকে কীভাবে সদস্য দেশগুলিকে বাঁচানো হয় তাই ছিল মঙ্গলবারের বৈঠকের বিষয়বস্তু।
সরাসরি যে যুদ্ধে জড়াতে নারাজ ন্যাটো, এই বার্তা পরিষ্কার বিশ্বের সব কটি দেশের কাছে। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে না নামলেও ইউক্রেনের নিকটবর্তী এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে সৈন্য মজুত করেছে তারা। এদিনের বৈঠকে এই সৈন্য সংখ্যা নিয়েও হয় আলোচনা। যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। জুন মাস নাগাদ সমস্ত সদস্যদের নিয়ে ন্যাটোর এক বৈঠকের আয়োজন করেছে মাদ্রিদে। ওই বৈঠকে সদস্যপদ এবং জোটের শর্ত এবং মেয়াদ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর ফলে যে ইউক্রেনের ঠাঁই হতে পারে ন্যাটোতে এমনটাও মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।