কিছুদিন আগেই শুক্রগ্রহে (venus) প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে এমনটাই জানিয়েছিল আমেরিকার নাসা (NASA)। তারপরই শুক্র অভিযানের তোরজোর শুরু করে দিয়েছে দেশগুলি। এরই মধ্যে শুক্র গ্রহের মালিকানা দাবি করল দেশ।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন মস্কোর এক অনুষ্ঠানে শুক্রের ওপর রাশিয়ার মালিকানা দাবি করে বসল। এর স্বপক্ষে তাদের বক্তব্য, ৬০ এর দশক থেকে বারবার তারা শুক্রের মাটিতে মহাকাশযান নামিয়েছে।
পৃথিবীর মানুষকে শুক্র সম্পর্কে প্রথম তথ্যও দিয়েছে রাশিয়া। অনেক আগেই তারা জানিয়েছে গ্রহটি নরকের মত। গ্রহের ওপর দাবি জানানোর পাশাপাশি দিমিত্রভ আরো বলেন, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে নয়, শুক্রের ওপর রাশিয়া গবেষণা করবে স্বাধীনভাবে।
কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে তারা শুক্র গ্রহে অতি অম্লীয় মেঘের সন্ধান পেয়েছে। এই মেঘটিতে আছে ফসফাইন নামে একটি গ্যাস। যা দেখে বিজ্ঞানীদের ধারনা শুক্রে অনুজীব বর্তমান। যা জীবনের সম্ভাবনাকে কয়েকগুন বাড়িয়ে দিল।
শুক্রে ঠিক কি ধরনের প্রাণ আছে তা এখনো জানা না গেলেও। বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে পৃথিবীতে ফসফিন অক্সিজেন-অনাহারযুক্ত পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উত্পাদিত হয়। জানা যাচ্ছে, এই আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিকদের দলটি পহাওয়াইয়ের জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ফসফিনটিকে প্রথমবার চিহ্নিত করেছিল । চিলির অ্যাটাকামা লার্জ মিলিমিটার / সাবমিলিমিটার অ্যারে (ALMA) রেডিও টেলিস্কোপ থেকে দেখে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, ফসফাইনের আনবিক গঠনে একটি ফসফরাস পরমাণু যার সাথে তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু সংযুক্ত যাকে। এটি মানুষের পক্ষে অত্যন্ত বিষাক্ত। পৃথিবীতে থাকা কয়েক প্রজাতির অনুজীব খনিজ বা জৈব পদার্থ থেকে ফসফেট গ্রহণ করে এবং হাইড্রোজেন যুক্ত করে ফসফাইন তৈরি করে থাকে। যেহেতু শুক্র পৃথিবীর খুব কাছে তাই রোবট পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে খুব শীঘ্রই সেখানে পাঠানো হতে পারে মহাকাশযান।