বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাতের অন্ধকারকে হাতিয়ার করে ইউক্রেনের (Ukraine) উপর ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালাল রুশ বায়ুসেনা। গতকাল ভোররাতে মোট ১৬টি ড্রোন ইউক্রেনের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে ইউক্রেনের আকাশে টহল দেয় তারা। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, প্রত্যেকটি ড্রোনকেই ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বায়ুসেনা। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু হওয়ার পর আকাশপথে এত বড় হামলা কখনও করেনি পুতিন সেনা। কিছুদিন আগে রুশ (Russia) প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মুখে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া বাহিনী।
গতকালের এই হামলার খবর প্রকাশ্যে এনে বিবৃতি দিয়েছে ইউক্রেনের বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘২৯ ও ৩০ ডিসেম্বরের রাতে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালায় রাশিয়া। ইরানে তৈরি কামিকাজে ড্রোন ঢুকে পড়ে ইউক্রেনের আকাশ সীমার মধ্যে। দেশের উত্তর আর দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ড্রোনগুলি ঢুকেছিল। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এয়ার অ্যালার্ট জারি করা হয় গোটা ইউক্রেন জুড়ে। মোট ১৬টি ড্রোনের প্রত্যেকটিই ধ্বংস করেছে ইউক্রেন সেনা।’ আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র রাজধানী কিয়েভ লক্ষ্য করেই ৭টি ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়।
বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনের একাধিক শহরে মোট ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল রাশিয়া। কিয়েভ ছাড়াও ওডেসা, লিভিভ, ঝাইতোমির শহরেও একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। কিয়েভে এক ১৪ বছরের কিশোরী সহ তিনজনের গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানা যাচ্ছে। গত বুধবারও রাশিয়া ৩৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের দিকে শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক ও নতুন বাহিনী পাঠাচ্ছেন পুতিন।
তবে রুশ বায়ুসেনার ড্রোন হামলার ফলে ইউক্রেনে সেরকম বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বেশ কিছুদিন ধরেই এই রকম পরিকল্পনা করে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। বৃহস্পতিবারের হামলার পরও রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়নি তারা। বরং তাদের লক্ষ্যই ছিল ইউক্রেনের নানা পরিকাঠামো ধ্বংস করা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রুশ হামলার জেরে ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শীতের মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিষেবার উপরে বারবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।