উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহল, তুর্কি ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামল রাশিয়া

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আর্মেনিয়া (Armenia) এবং আজারবেজানের (Azerbaijan) মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল বিবাদে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে এখনও অবধি এই দুই দেশের মধ্যে সবথেকে ভয়ানক যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।

থামার নাম না নিয়েই দুই দেশের পক্ষ থেকেই যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, তোপ, যুদ্ধ বিমানের দ্বারা হামলা করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, দুই দেশের এই যুদ্ধের ফলে এখনও অবধি প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। অগুনতি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রাণ ভয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন অনেকেই।

191619Azarbizan arlilary kk

আজারবেজানের সুরক্ষা মন্ত্রালয় দাবি করেছে, তাদের সেনাবাহিনী ভূমি থেকে অনেক উঁচুতে অনেক জায়গায় নিজেদের ক্ষমতার দ্বারা ওই স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছে। নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে কোন পক্ষই পিছু হটতে নারাজ। ১৯৮৮ সালে কারাবাখ আন্দোলনের পর থেকেই সেখানে স্বতন্ত্র শাসন কায়েম রয়েছে। কিন্তু অন্তরাষ্ট্রীয় স্তরে সেই শাসনকে মান্যতা দেওয়া হয়নি।

আর্মেনিয়া এবং আজারবেজানের মধ্যে এই যুদ্ধ সংগঠিত হলেও, এই দুই দেশকে পেছন থেকে শক্তি জোগাচ্ছে রাশিয়া এবং তুরস্ক। রাশিয়া সাপোর্ট করছে আর্মেনিয়াকে এবং তুরস্ক রয়েছে আজারবেজানের পেছনে। এদিকে আবার চীনের লেজ ধরে থাকা পাকিস্তানকে আবার তুরস্কের সাথে হাত মেলাতেও দেখা গেছে। আবারও অযাচিত ভাবে অন্য দেশের সমস্যায় নাক গলাতে শুরু করে দিয়েছে পাক সরকার।

imran khan 9

সূত্র মারফত জানা গেছে, আর্মেনিয়া এবং আজারবেজানের মধ্যেকার এই যুদ্ধে আজারবেজানকে সাহায্য করতে তাদের সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানী সেনা মিশে গেছে। সিরিয়া এবং লিবিয়ার মত ভয়ঙ্কর কিছু আতঙ্কবাদীকেও সেই যুদ্ধে পাঠাতে সাহায্য করছে পাকিস্তান।

রাষ্ট্রসংঘ এই দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্থাপন করতে বললেও, তারা সেকথা একেবারে নাকচ করে দিয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আজারবেজানের এলাকা থেকে আর্মেনিয়া নিজের অধিকার সরিয়ে নিচ্ছে, ততক্ষণ এই যুদ্ধ জারি থাকবে।

16014591339432 L

এদিকে আবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সেই রেশ ধরে দেখতে গেলে ভারত আর্মেনিয়ার দিকেই ছাতা ধরতে পারে। তবে ভারত সরকার এই যুদ্ধের বিষয়ে এখনও কোন মন্তব্য না করলেও, যে দেশের সাপোর্টে পাকিস্তানের মত শত্রু দেশ রয়েছে, সে দেশের হয়ে স্বপ্নেও কোন মন্তব্য করবে না ভারত সরকার।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর