বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইউক্রেন সংকটের মধ্যে রাশিয়া আবারও ভারতের সমর্থনের আশা প্রকাশ করেছে। রাশিয়া শুক্রবার বলেছে যে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আনলে, ভারতের সমর্থন আশা করে।
রুশ কূটনীতিক রোমান বাবুশকিন বলেছেন যে, ভারত সেই সব কারণগুলো ভালো মতোই জানে যার জন্য ইউক্রেনে আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মস্কো দুই দেশের মধ্যে বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব সহ নয়াদিল্লি থেকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য উন্মুখ। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পাশাপাশি পূর্ব ইউরোপের দেশটির পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট হবে।
বাবুশকিন বলেছেন যে, আমরা বর্তমান পরিস্থিতির পিছনের কারণ সম্পর্কে ভারতের গভীর উপলব্ধির প্রশংসা করি। আমরা আশা করি ভারত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়াকে সমর্থন করবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা করার জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত রয়েছে, যা পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ক্ষুব্ধ করেছে। ভারতের অবস্থানের প্রশংসা করে রাশিয়ান কূটনীতিক তিন দিন আগে প্যারিসে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্যেরও উল্লেখ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছিল যে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির মূল রয়েছে সোভিয়েত-পরবর্তী রাজনীতি এবং উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থার (ন্যাটো) সম্প্রসারণে।
বাবুশকিন বলেন, ভারতের অবস্থান খুবই ভারসাম্যপূর্ণ এবং স্বাধীন। আমরা এটির প্রশংসা করি এবং দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের সাথে ভারতের সমর্থনের জন্য উন্মুখ। বৃহস্পতিবার একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ইউক্রেন সংকট নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের খসড়ার বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত তা দেখেছে এবং এর খসড়ার চূড়ান্ত রূপের ওপর নয়াদিল্লির অবস্থান নির্ভর করবে। বিদেশ সচিব বলেন, আমাকে বলা হয়েছে এতে অনেক পরিবর্তন হবে।
রাশিয়ান কূটনীতিক বলেছেন যে, রাশিয়া ইউক্রেন সম্পর্কিত নতুন উন্নয়নের বিষয়ে ভারতের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছে। তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং তাদেরও পুরো পরিস্থিতি নিয়ে ভালোই ধারণা রয়েছে। ইউক্রেনের পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে টেলিফোনে কথোপকথন করেছেন, যেখানে তিনি সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং কূটনৈতিক সংলাপের পথে ফিরে আসার জন্য সব পক্ষ থেকে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।