বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাই ঘটে যাক, ইউক্রেনকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না, স্পষ্টতই জানালেন পুতিন। যতক্ষণ না কিয়েভ আত্মসমর্পণ করছে ততক্ষণ অবধি সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে রাশিয়া, এমন হুঙ্কারই ছাড়তে দেখা গেল রুশ প্রেসিডেন্টকে। আজই পোল্যান্ড ইউক্রেন সীমান্তে আরেক দফা বৈঠকে বসার কথা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের। কিন্তু কোনও কিছুতেই যে শান্তির পথে হাঁটবে না রাশিয়া তা একপ্রকার স্পষ্টই গোটা বিশ্বে কাছে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমনের পর কেটেছে দশ দিনেরও বেশি সময়। মৃত্যু হয়েছে দুদেশেরই হাজার হাজার সেনা এবং সাধারণ মানুষের। পাগলের মতন ইউক্রেন ছাড়ছেন মানুষ। রবিবারই শরনার্থী সংখ্যা পেরিয়েছে ১৫ লক্ষেরও বেশি। এরই মধ্যে পুতিন জানিয়েছেন কোনও মতেই রণ ভঙ্গ দেবে না রাশিয়া।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেণ নিয়ে রাশিয়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে তা পূরণ করা হবেই। সেটা আলোচনার মাধ্যমেই হোক বা যুদ্ধের মাধ্যমে। লক্ষ্য অর্জন না করে রাশিয়া থামবে না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমেরিকার কাছে মরিয়া সাহায্য প্রার্থনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিমান দিয়ে সাহায্য করার আবেদন জানান তিনি। সেই মতন পোল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিমান সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল আমেরিকার। এরই মধ্যে রুশ হুমকির মুখে পড়ে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় পোল্যান্ড। ইউক্রেনকে কোনও রকম সাহায্য করতে অস্বীকার করে তারা জানায়, পুতিন পোল্যান্ডকে হুমকি দিয়েছেন ইউক্রেনকে সাহায্য করা হলে পোল্যান্ডকেও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবেই বিবেচনা করবে রাশিয়া। ফলে আক্রমণ করা হবে পোল্যান্ডকেও। অন্যদিকে ইউক্রেন সেনার মার্কিন জেট ফাইটার ওড়ানোর প্রশিক্ষণ না থাকায় নিজেদের বিমান দিয়েও সাহায্য করতে পারছে না মার্কিন মুকুল। এই পরিস্থিতিতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তার অন্ধকার মেঘ।