বাংলাহান্ট ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে তিন দিনের সফরে রাশিয়া গিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এদিকে জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিনের এই মোলাকাতের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে, এমন জল্পনা উঠেছিল। কিন্তু সেই জল্পনা কার্যত উড়িয়ে দিলেন ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ।
তিনি জানালেন, মস্কো ও বেজিংয়ের সম্পর্কের ফলে মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে কোনও ছেদ পড়বে না। যদিও বিশেষজ্ঞরা জল্পনা করছিলেন যে জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের প্রভাব পড়তে পারে ভারত-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কে। কিন্তু রুশ রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তেমন কিছু ভাবার কারণ নেই। সম্প্রতি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সাফ এ কথা জানিয়ে দিলেন তিনি।
রুশ রাষ্ট্রদূত টুইট করে লিখেছেন, ‘আজকাল শি জিনপিংয়ের মস্কো সফর নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে। অনেক ভারতীয় বিশেষজ্ঞ একটি রাশিয়া-চিন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছেন। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে ছেদ পড়তে পারে। কিন্তু এগুলি শুধুই কাল্পনিক চিন্তাভাবনা।’ যদিও তিন দিনের রাশিয়া সফরে গিয়ে জিনপিং স্পষ্ট করে দেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
উল্লেখ্য, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যস্থতা করতে মস্কো গিয়েছিলেন বলে খবর। রাশিয়াকে যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিতে মস্কো গিয়েছিলেন জিনপিং। এর আগেও যুদ্ধ থামিয়ে শান্তির বার্তা প্রচার করার দাবি জানিয়েছিলেন জিনপিং। কিন্তু ইউক্রেনের সহযোগী আমেরিকা সেই দাবিতে সাড়া দেয়নি। বরং ঠাণ্ডা প্রতিক্রিয়া ছিল বাইডেনের।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মহলের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও ইউক্রেনের উপর আগ্রাসন বন্ধ করেনি রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সোমবার মস্কো গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মূলত শান্তিস্থাপকের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এতদিন রাশিয়ার পাশেই থেকেছে চিন। কখনও তাদের সরাসরি সাহায্য না করলেও পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়ে তাদের পাশেই দেখা গিয়েছে চিনকে। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক যেমনই থাক, এর প্রভাব রাশিয়ার আর এক বন্ধু ভারতের উপর পড়বে না বলেই জানানো হয়েছে।