বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছর সম্পূর্ণ করার মুখে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তার দিকে তাকিয়ে তামাম বিশ্ব। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়ার এক ‘সাইকিক’ এই যুদ্ধ শেষ হওয়া নিয়ে এক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। মিরেলা গ্যাসানোভা (Mirella Gasanova) নামক এক জ্যোতিষী ও জাদুকর যুদ্ধের শেষ নিয়ে জানিয়েছেন রুশ সংবাদমাধ্যমকে। রুশ খবরের কাগজ মস্কোভস্কিজ কোমোসোমোলেটসের কাছে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
এই সংবাদমাধ্যমটি গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, এমন মানুষের সঙ্গে কথা বলছে এই সংবাদমাধ্যমটি। তেমনই একজন হলেন মিরেলা গ্যাসানোভা। তিনি জানিয়েছেন, কোনও পক্ষের সমর্থন ছাড়া কোনও চুক্তিই কার্যকর হতে পারে না। তাই শান্তির চুক্তির কথা বলে লাভ নেই। শীঘ্রই এমন কিছু ঘটবে যা এই যুদ্ধের ছবি পাল্টে দেবে।
ইউক্রেনে রাশিয়া ঘাঁটি তৈরি করবে। তাঁর মতে, যখনই ইউক্রেনের (Ukraine) থেকে রাশিয়ার (Russia) আর কোনও বিপদ থাকবে না, তখনই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenski) আত্মসমর্পণ করবেন বলে মনে করছেন ওই রুশ জ্যোতিষী। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এ সব কত দিনে ঘটবে। এর উত্তরে ওই মহিলা জানান, খুব তাড়াতাড়ি ইউক্রেনে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে। জেলেনস্কির আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়েই এই পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন গ্যাসানোভা।
ইউক্রেনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেন গ্যাসানোভা। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও (Joe Biden) বুঝে গেছেন যে জেলেনস্কি বেশিদিন টিকবেন না। তাই ইতিমধ্যেই তিনি ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন।” তাই আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না বলে মত জ্যোতিষীর। তাঁর দাবি, চলতি বছরেই দেখা যাবে যুদ্ধের ফলাফল। যদিও নিজের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি গ্যাসানোভা।
সবই নিজের অনুমান থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই যুদ্ধে এখনও অবধি ৫ লক্ষ ২৩ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৪ লক্ষেরও বেশি সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের পক্ষে আর যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরা সম্ভব নয়। এছাড়াও ইউক্রেনকে আরও প্রতিরক্ষা কবচ দিয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি আমেরিকা (USA) ও জার্মানির (Germany) কাছে সাহায্য চেয়েছিল ইউক্রেন। সেই মতো তাদের প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করতে রাজি হয়েছে দুই দেশই। যদিও আমেরিকা ইউক্রেনে তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানোর জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে।