বাংলাহান্ট ডেস্ক : সীমান্তে চিনা সেনা নয় বরং মার খাচ্ছেন ভারতীয় সেনাই। কয়েক দিন আগে তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপর গতকাল সোমবার এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। ভারতীয় সেনা প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে দেশকে রক্ষা করেন, তাঁদের সম্পর্কে এমন অসম্মানজনক মন্তব্য করা কখনোই উচিত নয়, লোকসভায় দাঁড়িয়ে এই দাবি করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
তাওয়াং সংঘর্ষের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সীমান্তে ভারতীয় জওয়ানদের পেটানো হচ্ছে।’ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির এই মন্তব্যের পর নিন্দায় সরব হন বিদেশমন্ত্রী। সোমবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের জওয়ানরা দেশের সীমান্তে লড়াই করছে। ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করছেন। তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত। তাঁদের সম্পর্কে এই রকম অবমাননাকর মন্তব্য করা একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষ করে ‘পেটানোর’ মতো শব্দ ব্যবহার করা তাঁদের পক্ষে অত্যন্ত অসম্মানজনক।’
তাওয়াং সংঘর্ষের পর বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হন বিরোধীরা। চিনের আগ্রাসন নীতির সামনে বেশ উদাসীন ভারত সরকার, এই দাবিতে সরকারকে আক্রমণ শুরু করে বিরোধীরা। এই আক্রমণের জবাবে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বলেন, ‘আমরা যদি উদাসীন হয়ে থাকি , তাহলে সীমান্তে সেনা পাঠিয়ে দেশের সুরক্ষার ব্যবস্থা কে করল? প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য কে চিনকে চাপ দিচ্ছে? সর্বসমক্ষে কেনই বা আমরা বলছি যে চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারেই ঠিক নেই?’
অপরদিকে, ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই বিপুল অস্ত্র মোতায়েন করে চিন। সাম্প্রতিক কালে একটি উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে বিপুল অস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা। শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধের মহড়াও নাকি শুরু করেছে কমিউনিস্ট চিনের লালফৌজ (PLA)। ভারতের আকাশসীমা বরাবর চিনা যুদ্ধবিমানের উড়তেও দেখা যাচ্ছে। তিব্বতের এয়ারবেসগুলিতেও মোতায়েন করা হয়েছে চিনের যুদ্ধবিমান। সবমিলিয়ে ভারত – চিন সীমান্তে রীতিমতো যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি হয়ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।