বাংলা হান্ট ডেস্ক: নারদকান্ডে ধৃত আইপিএস অফিসার এস এম এইচ মির্জাকে আজ সোমবার ফের আদালতে পেশ করল সিবিআই। সম্প্রতি তার 14 দিনের জেল হেফাজত চেয়েছে সিবিআই। সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে নগর দায়রা আদালত। 15 ই অক্টোবর পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘এস এম এইচ মির্জা প্রভাবশালী, বিভিন্ন রাজনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে তার, তিনি জেলে থাকলে তদন্তের সুবিধা হবে’।
উল্লেখ্য, নারদা কান্ডে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিয়েছেন মুকুল রায়। নিজাম প্যালেসে মির্জা-মুকুলকে সামনা সামনি বসিয়ে জেরা করে CBI। সূত্রে খবর, মির্জা নিজের বয়ানে মুকুলের নাম করায় তাঁকে তলব করেন তদন্তকারীরা। মির্জাকে সামনে বসিয়ে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা কে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই ডাক পড়ে মুকুল রায়ের। নারদের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ব্যবসায়ীর বেশে থাকা নারদকর্তাকে মির্জার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন তত্কালীন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়।
উল্লেখ্য, ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি বলে মন্তব্য করেন মুকুল রায় । নারদকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার এস এম এইচ মির্জ়াকে নিয়ে আজ তাঁর এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে যায় CBI ৷ এই নিয়ে মুকুল রায় বলেন, তাঁর ফ্ল্যাটে কোনও টাকা লেনদেন হয়নি। আজ তিনি আবারও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে ।”
ছদ্মবেশী নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে মির্জ়ার কাছে পাঠিয়েছিলেন মুকুল। CBI তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্যই। ম্যাথু এবং মির্জ়া উভয়েই জানিয়েছেন এই একই কথা। তবে মুকুল রায়কে সরাসরি টাকা নিতে দেখা যায়নি নারদের ভিডিয়োতে। এদিকে ম্যাথুকে যে তিনি মির্জ়ার কাছে পাঠিয়েছিলেন, তা অস্বীকার করেননি মুকুল। জানিয়েছেন, উনি শিল্প করতে চেয়েছিলেন৷ সেই কারণে বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার মির্জ়ার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ভূমিকা ততটুকুই।