বাংলাহান্ট ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। ত্রিপুরায় পুলিসের হাতে গ্রেফতার হলেন সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ যুব তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছে মানুষ, এই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নীকে।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানান, পুলিস দাবি করছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকি জোরে গাড়ি চালিয়ে রাস্তার মানুষকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সায়নী। পালটা সুস্মিতার দাবি, সায়নী গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ মারার চেষ্টা করেছেন এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। পুরোটাই মিথ্যে, তৃণমূলকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছে এমনটা।
তিনি আরো বলেন, সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা আসছেন। তাঁর কর্মসূচী নষ্ট করার জন্য এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র। আগামীকাল সায়নীকে যখন আদালতে তোলা হবে তখন তাঁরা জামিনের আবেদন করবেন। এসব মিথ্যে মামলা দিয়ে তাঁদের দমানো যাবে না। সুস্মিতার অভিযোগ, সায়নী নিরাপদ নয়। থানার মধ্যে ঢুকে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল সমর্থকদের মেরেছে। তাই তাঁরা সায়নীকে একা ছেড়ে যাবেন না। থানাতেই রাত্রিবাস করবেন।
রবিবার সকালে পোলো টাওয়ার হোটেলে হানা দেয় স্থানীয় পুলিস। উদ্দেশ্য, সায়নীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া। তাদের অভিযোগ ছিল, সায়নীর গাড়ি একজনকে ধাক্কা মেরেছে। আহত হয়েছেন তিনি। তাই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যেতে হবে। এই নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। রুখে দাঁড়ান কুণাল ঘোষ। সায়নীকে আটক করার জন্য আইনি নোটিস কোথায়? প্রশ্ন তাঁর।
তাঁর দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই বারবার পুলিস পাঠাচ্ছে। পুলিসকে হাতের মুঠোয় পুরে রেখেছে। তবে তিনি এও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সায়নীকে নিয়ে থানায় যাবেন তিনি। পালটা সায়নীরও দাবি, পালিয়ে যেতে আসেননি তিনি। মুখোমুখি লড়াই করার জন্য এসেছেন। কী জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, কী বৃত্তান্ত তা জানতেই যাবেন তিনি।
থানায় গেলে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সায়নীকে। তারপর বিকেলবেলা গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আগরতলা পূর্ব থানার তরফে জানানো হয় এ খবর। আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সায়নীকে। রাতটা গরাদের পেছনেই কাটাতে হবে তাঁকে।