বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটি দৈনন্দিন সংবাদ চ্যানেলে গিয়ে সায়নী ঘোষ বলেছিলেন, রাস্তায় বাইকে করে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ‘জয় শ্রী রাম” বলাটা বাঙালীর সংস্কৃতি না। এরপরই সায়নীকে শুরু হয় নানান বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক মিম। যদিও দমবার পাত্র ছিল না সায়নী। সবার চোখে চোখ রেখে যোগ্য জবাব দিয়ে গেছে। কিন্তু বাধ সাথে একটি পুরনো ট্যুইট।
খুঁজে খুঁজে সায়নীর বিরোধীরা একটি ট্যুইট বের করে। সেই ট্যুইটে একটি মহিলা কার্টুনকে শিবলিঙ্গের মাথায় কন্ডোম পরাতে দেখা গিয়েছিল। এরপরই নতুন করে সায়নীকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সায়নীর বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। সায়নী ঘোষ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য বলেন, ওই ট্যুইটটি ওনার করা ছিল না, ওনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। আর তখনই সেই ট্যুইট হয়েছিল।
এরপর সায়নীর পাশে দাঁড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সায়নীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। শেষমেশ হুগলিতে তৃণমূলের একটি সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন সায়নী। আর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে আসানসোল দক্ষিণে সায়নীকে প্রার্থী করেন তৃণমূল নেত্রী।
আসানসোলে সায়নীর নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূলের একাংশ ক্ষোভ উগরে দেয়। তাঁদের দাবি, তাঁরা কোনও বহিরাগতকে নির্বাচনে দাঁড়াতে দেবে না। এলাকার মানুষকে প্রার্থী করার দাবি জানায় তাঁরা। যদিও, দলীয় কর্মীদের ক্ষোভকে সাইডে সরিয়ে রেখে সায়নীকেই প্রার্থী করে রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সায়নীও নিজের কেন্দ্রে জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।
বার্নপুরে সায়নীর কর্মসূচীতে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সায়নী ঘোষের বিতর্কিত পোস্টের জেরেই এই ঘটনার সুত্রপাত বলে জানা যায়। আর সেই বিতর্কিত পোস্টের কারণে সায়নীকে বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা পরাতে দেবে না বলে জানায় বিজেপির কর্মী। এমনকি মূর্তির বাউন্ডারিতে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে সায়নীর কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়। যদিও, বিজেপি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁরা বলেছে এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের কোন্দলের কারণেই এটা হয়েছে।