বাংলাহান্ট ডেস্ক: নীল সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি। এই সাদামাটা সাজের কথা উঠলেই সকলেরই মনে ভেসে ওঠে একটাই মুখ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরু থেকে এমনি সাজে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যটাকেও প্রিয় নীল সাদা রঙে সাজাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার খোদ ‘দিদি’র মতো করেই সাজতে দেখা গেল তাঁর দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)।
শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে দলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই এমন সাজে যোগ দিতে দেখা যায় সায়নীকে। মুখ্যমন্ত্রীর মতোই নীল পাড় সাদা শাড়ি, গাঢ় নীল রঙের ব্লাউজ পরেছিলেন তিনি। বাদ দেননি পায়ের হাওয়াই চটিও। ব্যতিক্রম শুধু খোঁপার বদলে নিজস্ব স্টাইলে উঁচু করে বাঁধা চুল আর মাথার উপরে তুলে রাখা সানগ্লাস।
হঠাৎ সায়নীর এমন সাজের কারণ জানা না গেলেও নেটনাগরিকরা কিন্তু রসিকতায় মেতেছেন। কারোর মতে, সায়নীকে দেখে ‘মডার্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ মনে হচ্ছে। আবার কারোর কটাক্ষ, সায়নী হলেন ‘গরীবের মমতা’। এর আগে তাঁর বক্তৃতার ধরণের সঙ্গেও অনেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর মিল পেয়েছিলেন।
যদিও সায়নী রাজনীতিতে বিশেষ করে তৃণমূলে পা রেখেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। প্রথমে বাম মনস্ক হিসাবে পরিচিত হলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে সকলকে চমকে দিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন সায়নী। কিন্তু জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। তারপর অবশ্য তাঁর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দেখে তাঁকে যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর পদ দেওয়া হয়।
তৃণমূলে আসার পর থেকেই নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট মেনটেন করেছেন সায়নী। সাদাসিধা কুর্তি বা শাড়ি, চোখে কাজল, উঁচু করে বাঁধা চুল আর সানগ্লাস এমনি লুকে তাঁকে দেখা গিয়েছে প্রতিবার। এমন মুখ্যমন্ত্রীর থেকে অনুপ্রাণিত সাজ এই প্রথম। আর তাতেই চমকেছেন সবাই। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি এখনো।