বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় করে যতটা না জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, রাজনীতিতে পা রেখে তার থেকে ঢের বেশি পরিচিতি পেয়েছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তাঁর নাম এখন মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফেঁসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব পাওয়া নেত্রী যে বিশেষ ভাবে লাইমলাইটে থাকবেন এ তো বলা বাহুল্য।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন সায়নী। কিন্তু ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি তাঁর। সেবারে হেরে গেলেও দল তাঁকে ফেরায়নি। বর্তমানে যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে রয়েছেন সায়নী। বিভিন্ন সময়ে নিজের বিষ্ফোরক মন্তব্যের জন্য বরাবর চর্চায় থেকেছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পরেই সায়নীর ব্যক্তি জীবন নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে আমজনতার। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা দাখিল করেছিলেন সায়নী, যা দেখে হতবাক হয়েছিলেন অনেকেই।
সায়নীর জমা দেওয়া হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে যাদবপুরের হিরেন্দ্র লীলা পত্রনবিশ স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন সায়নী। এমনি তথ্য তিনি জানিয়েছেন হলফনামায়। এরপর তিনি কী পড়েছেন বা আদৌ পড়েছেন কিনা সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
অন্যদিকে সায়নীর সম্পত্তির ব্যাপারে বললে, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় ৩২ হাজার ৭৭৫ টাকা ক্যাশ ছিল তাঁর কাছে। পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত মোট অর্থের পরিমাণ ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮২৫ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৬ টাকা জমা রয়েছে সায়নীর।
৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৬৯ টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে অভিনেত্রীর। এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি ফ্ল্যাটের মালকিন তিনি যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা। তবে সম্পত্তির পাশাপাশি মাথায় ঋণের বোঝাও নেহাত কম নেই সায়নীর। ব্যক্তিগত ও গাড়ি ঋণ নিয়ে ৬৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার ঋণ রয়েছে তাঁর।