বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির কল্যাণে বর্তমানে সমস্ত লাইমলাইট রয়েছে সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) উপরে। কুন্তল ঘোষের সঙ্গে পরিচয় থাকার সন্দেহে সম্প্রতি তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে হাজিরা দেওয়ার পাশাপাশি পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর আসন্ন ছবির ঘোষণা অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন সায়নী।
অভিনয় জগৎ থেকেই রাজনীতিতে পা রাখেন সায়নী। আগের থেকে সিনেমা কমিয়ে দিলেও এখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে ভালবাসেন তিনি। রাজনীতিতে পা রাখার আগে একবার দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা সমর ঘোষ। বাবা মেয়ের কথোপকথন এখন নতুন করে ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়ায়।
সায়নীর বাবা জানান তাঁর প্রথমে পানের দোকান ছিল। আর এখন যাদবপুরের মতো জায়গায় তিন তিনটে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। এত রমরমা হঠাৎ কীভাবে হল সেটাও জানিয়েছিলেন সায়নীর বাবা। তিনি জানান, একবার এক প্রোমোটারকে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন তিনি। তিনি এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে তাঁকে বুকে জাপটে ধরে বলেছিলেন, :তোকে দেখে নেব আমি’।
এক জ্যোতিষীও নাকি সায়নীর বাবাকে বলেছিলেন, তাঁকে চাকরি করতে হবে না। ‘অন্যের টাকায়’ বড়লোক হবেন তিনি। সত্যিই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় নেমে ফুলেফেঁপে ওঠেন অভিনেত্রীর বাবা। আজ গলায় একগুচ্ছ সোনার চেন পরে ঘোরেন তিনি।
সেদিন সায়নী মজা করে বলেছিলেন, সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর বাবার পরিচিতি বেশি। কেউ কোনো বিপদে পড়লেই ছুটে যান সমর বাবুর কাছে। সেই সূত্র টেনেই সায়নীর মজা, “কেউ কোনো বিপদে পড়লে যাদবপুরে এসে বলবেন, সমর ঘোষ পাঠিয়েছে। তারপর দেখবেন।”