বাংলাহান্ট ডেস্ক: জামিন পেলেন সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)। সোমবার আদালতে তোলা হয় যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষকে। জোরে গাড়ি চালিয়ে মানুষকে জখম করার অভিযোগে রবিবার ত্রিপুরায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। আসন্ন পুরভোটের জন্য ত্রিপুরাতেই ছিলেন সায়নী, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরা। রবিবার সকালেই আগরতলায় তাঁদের হোটেল ঘেরাও করেছিল পুলিস।
আইনি নোটিস দেখাতে না পারায় পরে কুণাল ঘোষ সায়নীকে নিয়ে থানায় যান। সেখানে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলবেলা গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সারারাত গরাদের পেছনেই কাটিয়েছেন সায়নী। সোমবার বিকেলে আগরতলা আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। ২ দিন সায়নীকে হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় পুলিস। কিন্তু আদালত জামিনের রায় দেয় তাঁর।
রবিবার তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব জানান, পুলিস দাবি করছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকি জোরে গাড়ি চালিয়ে রাস্তার মানুষকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সায়নী। পালটা সুস্মিতার দাবি, সায়নী গাড়িচাপা দিয়ে মানুষ মারার চেষ্টা করেছেন এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। পুরোটাই মিথ্যে, তৃণমূলকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছে এমনটা।
সোমবার ত্রিপুরায় পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থানায় সায়নীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিন সায়নীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয় কলকাতাতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, সায়নীর মতো শিল্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওর চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। মানবাধিকার কোথায়?
কলকাতায় যেমন প্রতিবাদ মিছিল বেরোয়, অপরদিকে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনের সামনে ধরনায় বসে তৃণমূলের প্রতিনিধি বলে। বিকেলে অমিত শাহ বৈঠক করেন তাঁদের সঙ্গে। তিনি জানান, ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আর হিংসার ঘটনা সেখানে ঘটবে না।