মোদী ম‍্যাজিক এখন অতীত, গোটা রাজ‍্যেই মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের উন্নয়ন চলছে: সায়নী ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুখ‍্যমন্ত্রীর পদে হ‍্যাটট্রিক করে ফেলেছেন, এবার মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের লক্ষ‍্য দিল্লির কুর্সি। তার জন‍্য ২০২৪ কে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। তার আগে নিজের রাজ‍্যেও সবকটি উপনির্বাচনে তিনি জিতবেন বলে আশাবাদী তিনি। ‘দিদি’র অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত যুব তৃণমূলের রাজ‍্য সভাপতি সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)। তাঁর ঘোষনা, তিনে তিন হয়েছে, এবার চারে চার হবে।

শুক্রবার শান্তিপুর উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। এরপরেই আত্মবিশ্বাস যেন দুগুণ বেড়ে গিয়েছে সায়নীর। জোর গলায় বললেন, “মোদী ম‍্যাজিক বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। গোটা রাজ‍্য জুড়েই মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের উন্নয়ন চলছে। শান্তিপুরের মানুষ একবার ধোঁকা খেয়েছে। যাকে নির্বাচিত করেছিল তিনি নিজের স্বার্থের কথা ভেবে সাংসদ হতে চলে গিয়েছেন। এবার শান্তিপুরের মানুষ বুঝেছে, তাদের পাশে যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে সেটা মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।”

saayoni 47557
জয় নিয়ে নিশ্চিত সায়নী বলেন, “এবার হবে, ২০২৪ এ হবে। এবার শুধু ওরা যাবে আর আমরা আসব। এখন শুধু ওদের চলে যাওয়ার পালা।” শান্তিপুরের ভূমিপুত্র তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। জয়ের ব‍্যাপারে আশাবাদী তিনিও। জানালেন, জয়ী হলে স্থানীয় হাসপাতালের উন্নয়ন করবেন। সর্বক্ষণ পুজো অর্চনা নিয়ে ব‍্যস্ত থাকা ব্রজকিশোরকে প্রার্থী করা তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ প্রসঙ্গে সায়নীর মত, পুজো নিয়ে থাকলে রাজনীতিতে আসা যায় না এটা বিশ্বাস করেন না তিনি।

এর আগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে উপ নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে তীব্র কটাক্ষ করে সায়নী বলেন, বিজেপির মতো তৃণমূল ধর্মের রাজনীতি করে না। বিজেপি ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে তাস খেলতে চায়। তাই বাংলায় তাদের তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে। এখানকার মানুষ বিজেপির অসল খেলা অনেকদিন আগেই বুঝে গিয়েছে। তাই তারা মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত।

সায়নী বলেন, মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের থেকেই রাজনীতির পাঠ পড়েছেন তিনি। তাই কাউকে হারাতে হলে রাজনীতির পথেই হারাবেন। ধর্মের রাজনীতি করবেন না। কেন্দ্রের নেতামন্ত্রীদেরও একহাত নিয়েছেন সায়নী। তাঁর কথায়, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি থেকে ডেলি প‍্যাসেঞ্জারি করে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া আসা করতেন প্রধনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এমনকি ভবানীপুরের গলিতে গিয়ে চৌবাচ্চাও পরিস্কার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।”

সায়নীর অভিযোগ, ইয়াশের সময়, করোনাকালে সাধারন মানুষের পাশে তাঁদের দেখা যায়নি। তখন তৃণমূলই দাঁড়িয়েছিল। তাই ডেলি প‍্যাসেঞ্জারি করেও বাংলায় খুঁটি পুঁততে পারেনি বিজেপি। মানুষ তৃণমূলকেই আবার নির্বাচিত করেছে।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর