দুর্গা পূজোয় যাদবপুর কেন্দুয়া শান্তি সংঘের মুখ সায়নী ঘোষ, থিম অনুনাদ

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। তারপরে সেখান থেকে বেশ ভালো মার্জিনে জিতেও যান তিনি। শুরু হয় সংসদ হিসেবে তাঁর যাত্রা। এই কয়েকদিনের মধ্যেই যাদবপুর এবং সায়নী (Saayoni Ghosh) যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। আসন্ন দুর্গাপুজোয় এবার যাদবপুরের এক পুজো কমিটির মুখ হচ্ছেন সায়নী ঘোষ। ক্লাবটির নাম কেন্দুয়া শান্তি সংঘ।

এই পুজোর এবারের থিম অনুবাদ। এই থিমের জন্য প্রথমেই প্ল্যান্ডেল শিল্পী বেছেছিলেন সায়নীর মুখ। অজানা নিয়েছে যাদবপুরের সাইট সায়নীর নাম ঘোষণা করার আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিল্পী। তাতে সায়ও দিয়েছিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা। এই অনুরোধ নিয়ে তারা পৌঁছেছিলেন সায়নীর কাছেও। তবে, প্রাথমিক ভাবে তাতে সায় দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

Saayoni Ghosh

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)

তারপর জানিয়েছিলেন তৎকালীন সময়ে ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকায়, এখনই এই বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না তিনি। তবে সংসদ হয়ে যাওয়ার পর ফের পুজো কমিটির সদস্যরা তাঁর কাছে যায়, এবং তারপর এই বিষয়ে পূর্ণ সম্মতি দেন সায়নী। বেশ কিছুদিন আগে প্যান্ডেল শিল্পীর হয়ে একটি ফটোশ্যুটও করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই ছবির পোস্টার এখন টাঙানো রয়েছে শহরতলীর প্রত্যেকটি দেওয়ালে।

গত ১৫ আগষ্ট সায়নীর এই পোষ্টারের মুক্তি দেয় পুজো কমিটির সদস্যরা। তারপর থেকে হোডিং, ব্যানার, পোস্টার একাধিক রকম ভাবে এই কথার জানান দিয়ে দর্শকদের পুজোতে আহ্বান জানাচ্ছে কেন্দুয়া শান্তি সংঘ। প্রসঙ্গত আর জি করের ঘটনার জন্য সম্প্রতি জমায়েত করে রাতের দখল নিয়েছিল মেয়েরা। এতে সামিল হয়েছিলেন একাধিক তারকারাও। তবে যাদবপুরে এই জমায়েতের সূত্রপাত হলেও সেখানে দেখা মেলেনি সেখানকার সংসদের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাজারও জনতা।


Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর