বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্কিত ‘কালী’ (Kaali Controversy) তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) মন্তব্য ঝড় তুলেছে বিভিন্ন মহলে। নিজের মন্তব্যের সপক্ষে দলকেও পাশে পাননি সাংসদ। মহুয়ার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সবুজ শিবিরের অস্বস্তির মাঝেই সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)।
বুধবার মেদিনীপুর শহরে আসন্ন শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন সায়নী। সেখানেই মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য এবং তৃণমূলের দায় এড়ানোর বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রশ্ন শুনেই রেগে যান সায়নী। স্পষ্ট বলেন, তাঁর যেটা মনে হয়েছে সেটা তিনি বলেছেন। দলের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এরপর আর তাঁর নিজের কিছু বলার থাকতে পারে না।
যদিও তারপরেই সায়নী বলেন, গণতন্ত্রে বাক স্বাধীনতার জায়গা রয়েছে, আবার সৃজনশীলতারও জায়গা রয়েছে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে কারোর ধর্মীয় বিশ্বাসে যেন আঘাত না করা হয়। প্রত্যেকের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরানোর ছবি শেয়ার করে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সায়নী। তখন অবশ্য তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর সেই পুরনো টুইট আবারো ভাইরাল হয়। মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও আবারো সায়নীর নাম উঠে এসেছে।
বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। শুধু মহুয়া নয়, সায়নী ঘোষ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র, বিশ্বজিৎ দাস, নির্মল মাজিদেরও গ্রেফতারির দাবি তুলে টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বসু।