বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে পা রেখেছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই আরো কয়েকজন টলিপাড়ার তারকাদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আসানসোল থেকে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু জিততে পারেননি। তবে অন্য হেরে যাওয়া তারকাদের মতো রাজনীতির ময়দান ছেড়ে পালাননি সায়নী।
পেয়েছেন পরিশ্রমের মূল্য। যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে উত্তরণ ঘটেছে তাঁর। অভিনয় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন সায়নী। এর মাঝেই হঠাৎ গণ্ডগোল। নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে নাম জড়ায় তাঁর। আজ শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের জেরার সম্মুখীন হন সায়নী। চর্চায় রয়েছে শুধু তাঁরই নাম। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অভিনেত্রীর একটি ভিডিও। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন তিনি।
বাবা সমর ঘোষের সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন তিনি। সেই পর্বেরই একটি অংশের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মেয়েকে ছাপিয়ে বাবা নজর কেড়েছেন বেশি। কালো পাঞ্জাবি, গলায় একাধিক সোনার চেন, হাতে আংটি আর চোখে সানগ্লাস। এক্কেবারে বাপ্পি লাহিড়ীর লুকে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীর বাবাকে।
সায়নী মজা করে নিজের বাবাকে ‘যাদবপুরের ডন’ বলে পরিচয় দিয়েছেন। আসলে তাঁর বাবার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। তাই সামাজিক ক্ষেত্রে পরিচিতি বেশি। কেউ কোনো বিপদে পড়লেই ছুটে যান সমর বাবুর কাছে। সেই সূত্র টেনেই সায়নীর মজা, “কেউ কোনো বিপদে পড়লে যাদবপুরে এসে বলবেন, সমর ঘোষ পাঠিয়েছে। তারপর দেখবেন।”
সায়নী এও জানান, মাঝে মাঝেই নাকি বাবা তাঁকে বলেন তিনি জীবনে কী করেছেন। তাঁর থেকে বাবার জমি জায়গার পরিমাণ বেশি। দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে সায়নীর কিছু গোপন কথাও ফাঁস করে দেন তাঁর বাবা। বাড়িতে রাগারাগি করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সায়নী। তিন বছর আলাদা ছিলেন। কিন্তু একবারও দেখতে যাননি বাবা। শুধু একটি ঘড়ি পাঠিয়েছিলেন, যাতে লেখা ছিল ‘তোমার শুভ সময় আসুক’।
এই ভিডিওটি নিয়েও কটাক্ষের মুখে পড়েছেন সায়নী। নেটিজেনদের একাংশ ব্যঙ্গ করছেন, বাবা ‘ডন’ আর মেয়ে মানুষের চাকরি নিয়ে দুর্নীতিতে ফেঁসেছেন। শুক্রবার ইডির মুখোমুখি হন সায়নী। তবে তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে বলে খবর সূত্রের।