কন্ডোম বিতর্ক দিয়ে শুরু! ‘বাবা, বাবা গো.’, ভোটে জিতেই একি কাণ্ড ঘটালেন সায়নী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিবলিঙ্গ দিয়ে শুরু। জয়লাভের দিনও সেই ঠাকুরেই ভরসা। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এখন রাজধানীর পথে তরুণ এই তারকা। জানা গিয়েছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র সাত লাখ সতেরো হাজার আটশো নিরানব্বই ভোট (৭,১৭,৮৯৯) ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) যুবনেত্রী।

অভিনয় জগৎকে টাটা করে গত কয়েক বছর ধরেই রাজনীতিতে নিজেকে সমর্পণ করেছেন সায়নী। রাজনীতি তার শেষ ভালোবাসা হবে, এমনটাও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। আর সেই আত্মবিশ্বাসেই বিরাট জয়। একদা বাম দুর্গ যাদবপুরে টানা জোড়াফুল ফোটাচ্ছে তৃণমূল। গতকাল ভোট গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন সায়নী। সেই ধারা অব্যাহত রেখে শেষ হাসিও হাসলেন তিনি। আর ভোটে জিতেই ভগবানের পায়ে লুটিয়ে পড়লেন হবু সাংসদ।

   

দিদির আদলে পরণে শাড়ি, গায়ে আঁচল। ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই হাতে শংসাপত্র স্থানীয় কালী-শনির মন্দিরে হাজির হন সায়নী। ছিল শিবলিঙ্গও। সেখানে পৌঁছেই মহাদেবের পায়ে কার্যত লুটিয়ে পড়েন জয়ী প্রার্থী। হাসি মুখে তোলেন ‘হর হর মহাদেব ধ্বনিও।” অনেকের মতে এ অবশ্য শুধুই লোক দেখানো।

প্রার্থী তালিকা তার নাম ঘোষণার পর শিবলিঙ্গে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচারের শুরু করেছিলেন সায়নী ঘোষ। সপ্তম দফার নির্বাচনের পরীক্ষার দিনও সকালেই পুজো দিতে চলে যান পাড়ার শিবমন্দিরে। প্রসঙ্গত এই শিব ঠাকুর নিয়ে সায়নীর বিতর্ক কম নেই। ২০১৫ সালে সায়নী ঘোষ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (বর্তমানে যা এক্স) থেকে একটি গ্রাফিক শেয়ার করেছিলেন। যাতে ছিল একটি শিবলিঙ্গের ছবি। তাতে কন্ডোম পরাচ্ছিলেন এডস সচেতনতার বিজ্ঞাপনের ‘বুলাদি’। যা বুলা দির শিবরাত্রি নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ভাইরাল হয়েছিল।

sayani ghosh

আরও পড়ুন: ভালো ফল করেও গোল্লা ইন্ডিয়া! এক ফোনেই গোটা খেলা ঘুরিয়ে দিলেন মোদী, দেশ জুড়ে শোরগোল

যদিও পরে সায়নী ঘোষ সেই জানান, তার টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। ওই পোস্ট দেখার পরই ডিলিট করে দেন। সায়নীর দাবি ছিল, ২০১০ সাল থেকে তার অ্যাকাউন্ট খোলা হলেও তিনি তাতে সক্রিয় ছিলেন না। ২০১৭ সাল থেকে ফের তিনি সক্রিয় হন। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত বিতর্ক ছাড়েনি সায়নীকে। আর এবার লোকসভা ভোটে জয়লাভ করার পরও সায়নীর ভরসা সেই শিব ঠাকুর।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর