বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় সাইকেল দেয় সরকার। আবারও উঠল সেই সাইকেল বিক্রির অভিযোগ। নদিয়ার একাধিক এলাকায় এই সাইকেলগুলি মাত্র ২০০-৩০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে, নদিয়ার হাবিবপুর, ভীমপুর, রানাঘাট প্রভৃতি অঞ্চলে ভাঙাচোরা জিনিসের সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে এই সাইকেলগুলি। ওই ভাঙাচোরা গোলায় গেলেই দেখা মেলে সরকারি সবুজ সাথী স্টিকার লাগানো একাধিক সাইকেল। সেগুলি বিকোচ্ছে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর স্কুল থেকে এই সাইকেলগুলি পেয়েছিল তাদের অভিভাবকরাই সেগুলি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই অভিভাবকরা। এহেন ঘটনা সামনে আসতেই কার্যতই তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকায়।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে তারা। বিজেপির শান্তিপুর ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি রাজু বৈরাগীর কথায়, ‘ভোটের স্বার্থে এই সরকার সকলকে খুশি রাখতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অঢেল সাইকেল দিয়েছে। কিন্তু, দেখা যাবে অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অথচ সর্বসাধারণের জন্য বহু প্রকল্প অর্থাভাবে বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। গুণগতমান দেখে তা চালানোর উপযোগী না হওয়ার কারণে বেচে দিচ্ছেন অনেকেই।’
অভিভাবকদের দাবীও প্রায় একই। সাইকেল বিক্রি করে দেওয়া অভিভাবকদের একটা বড় অংশের মতে, সাইকেলগুলির গুনগত মান এতটাই খারাপ যে সেগুলি পাওয়ার পর বহু টাকা খরচ করেও চালানোর যোগ্য করা যায়নি। তাই বাধ্য হয়েই বিক্রি করে দিয়ে হয়েছে। যদিও এই দাবীর বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘সবুজ সাথী সরকারের একটি মানব দরদী প্রকল্প। এর ফলে বহু পড়ুয়াই উপকৃত হয়েছে। কেউ এই সাইকেল বিক্রি করে দিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী। কিন্তু তার মধ্যে সামান্য একটা অংশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’ ঘটনাটিকে ঘিরে যে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা, তা বলাই বাহুল্য।