বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তম কুমার (Uttam Kumar) সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee), বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের সবথেকে প্রিয় জুটিদের মধ্যে অন্যতম। অনস্ক্রিনে তাঁদের যুগলবন্দি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। কিন্তু অফস্ক্রিনে তা আর দেখার সুযোগ হল না। উত্তম কুমারকে ভালবেসে সারা জীবন অবিবাহিতই থেকে গেলেন সাবিত্রী।
৮৪ টি বসন্ত কাটিয়ে ৮৫ তেও ‘সুইট সিক্সটিন’ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও বড়পর্দা ও ছোটপর্দায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। সারা জীবন কাজ নিয়েই কাটিয়ে দিলেন। দ্বিতীয় প্রেম আর তাঁর জীবনে এল কই? তবে প্রথম প্রেমটা ব্যর্থ হলেও অস্বীকার কখনোই করেননি ‘সাবু’দি।
তখন উত্তম কুমারের চোখের চাহনি, হাসি, অভিনয়ে পাগল মহিলা মহল। তাদেরই বা দোষ দেওয়া যায় কীকরে? সিনে জগতের তাবড় অভিনেত্রীরা হাবুডুবু খেয়েছেন উত্তম কুমারের প্রেমে। তালিকায় নাম ছিল সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়েরও। শোনা যায়, উত্তম কুমার তাঁকে নিয়ে খুব পজেসিভ ছিলেন।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনে কখনো প্রেম আসেনি, এমনটা নয়। কিন্তু মহানায়ক ভেঙে দেন বহু সম্বন্ধ। তিনিও তো চাইলেই উত্তম কুমারকে কাছে চাইতে পারতেন, স্রেফ ভালবাসার অধিকারে? সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি কারোর ঘর ভাঙতে চাননি।
অভিনেত্রী বলেন, তাঁর জীবনে অনেক বন্ধুই ছিল। কিন্তু সকলেই বিবাহিত। এবার বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়াটা তো আর তাঁর দোষ নয়। কিন্তু ভালবাসলেও ঘর ভাঙতে চাননি বলেই বিয়ে করেননি সাবিত্রী। কিন্তু ঘর ভাঙা থেকে বাঁচাতে কি পারলেন? গৌরী দেবীর সঙ্গে উত্তম কুমারের ছাড়াছাড়ি হওয়ায় কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি তাঁর নিজের সঙ্গেও উত্তম কুমারকে জড়িয়ে অনেক রটনা আছে।
সংবাদ মাধ্যমকে সাবিত্রী জানান, প্রেম ছিল বটে। তবে ঘটনার থেকে রটনাটা সে যুগেও ছিল বেশি। এমনকি এমন খবরও ছড়িয়েছিল যে সাবিত্রীর জন্য উত্তম কুমার বালিগঞ্জে বাড়ি ভাড়া করেছেন। দুজনে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন। এর জেরে তখন বেশ শোরগোল পড়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে।