বাংলাহান্ট ডেস্ক: যুগ বদলেছে, সঙ্গে বাংলা সিনেমার ধরণও বদলেছে। একাধিক অভিনেতা পেয়েছেন ‘মহানায়ক’ (Mahanayak) তকমা, সম্মান। কিন্তু বাঙালির কাছে আসল ‘মহানায়ক’ একজনই ছিলেন, আর ওই একজনই থাকবেন। উত্তম কুমার (Uttam Kumar), মৃত্যুর ৪২ বছর পরেও তাঁর স্মৃতি একই রকম উজ্জ্বল। ৩ রা সেপ্টেম্বর ছিল মহানায়কের ৯৬ তম জন্মদিন।
অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়, ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় উত্তম কুমার, যাঁর হাত ধরে একের পর এক চিরস্মরণীয় সিনেমার সাক্ষী হয়েছিল দর্শকরা। উত্তম প্রয়াণের পর রাজ্য সরকারের তরফে কিংবদন্তিকে সম্মান জানিয়ে ‘মহানায়ক’ পুরষ্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এ সম্মান পেয়েছেন সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty) এবং নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। অথচ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee)।
উত্তম কুমারের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তাঁর প্রিয় ‘সাবু’। মহানায়কের খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। এমনকি শোনা যায়, উত্তম কুমারের জন্যই সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। উত্তম কুমারের জন্মদিনে সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাঁকে যখন মহানায়ক সম্মানের ব্যাপারে জানানো হয়, তখন কার্যত আকাশ থেকে পড়েন প্রবীণ অভিনেত্রী।
এমন কোনো সম্মান দেওয়া হচ্ছে এ খবর জানতেনই না বলে মন্তব্য করেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। এ বছর সোহম ও নুসরত এই সম্মান পেয়েছেন শুনেও অবাক হয়ে যান তিনি। অভিনেত্রী স্পষ্টই জানান, এসব খবরে তাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। কারণ এখানে জ্ঞানের পরিচয় দিয়ে কিছু হয় না।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় স্পষ্টই বলেন, মহানায়কের জায়গা এখনো কেউ নিতে পারেনি। তবে তাঁর (সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়) অবর্তমানে কী হবে তা তিনি জানেন না। ইদানিংয়ের ‘বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান’ ট্রেন্ডের ব্যাপারেও তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। উত্তরে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাঁকে বা উত্তম কুমারকে কখনোই এমন কিছু বলতে হয়নি। দর্শকরা সবসময়ই পাশে ছিলেন। এখন অনেক কিছুই নতুন নতুন দেখা যাচ্ছে।