‘ছেলের বৌদের মা হতে পারবোনা!’ বিয়ের পর আলাদা থাকার শর্ত দিয়েছিলেন মিঠু চক্রবর্তী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনকয়েক আগেই নতুন সদস্য এসেছে পর্দার ফেলুদার বাড়িতে। ঠাকুর্দা-ঠাকুমা হয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakrabarty) এবং মিঠু চক্রবর্তী (Mithu Chakrabarty)। পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন গৌরব চক্রবর্তী (Gaurav Chakrabarty) এবং ঋদ্ধিমা ঘোষ। যদিও ঠাকুর্দা তিনি আগেই হয়েছিলেন। ছোট ছেলে অর্জুনের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। অর্থাৎ রাজকন্যা, রাজপুত্র নিয়ে বড় সুখী গৃহকোণ সব্যসাচী ও মিঠুর।

সব্যসাচী-মিঠুর সংসার শুরু হয় ১৯৮৬ সালে। সংসার পূর্ণ করতে তাদের কোলজুড়ে আসে গৌরব এবং অর্জুন। তারা দুজনেই আজ টলিপাড়ার নামজাদা তারকা। দীর্ঘদিন ধরে চুটিয়ে কাজ করছেন তারা। পেশাদার জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনটাকেও গুছিয়ে নিয়েছেন দুই তারকাই‌। বিয়ে কর ঘোরতর সংসারি তারা। তবে জানেন কি ছেলেরা বিয়ে করার আগে কড়া শর্ত রেখেছিলেন মা মিঠু।

ফেলুদার পত্নী নাকি বিয়ের পর আলাদা থাকার হুমকি দিয়েছিলেন। এমনিতে কোনো মা বাবাই তাদের সন্তানকে আলাদা করতে চাননা। তবে এইদিক দিয়ে মিঠু আর সব্যসাচী একেবারেই আলাদা। তারা সাফ বলে দিয়েছিলেন যে, আলাদা থাকার ক্ষমতা থাকলে ছেলেরা তবেই যেন বিয়ে করে। মিঠু এইদিন মিডিয়াকে নিজে মুখেই জানালেন এই কথা।

আরও পড়ুন : নিপাট ভদ্রলোক থেকে সোজা খলনায়ক! নায়ক-নায়িকার জীবনে ঝড় তুলতে আসছেন ঋজু বিশ্বাস

আসলে মা মিঠু মনে করেন সংসারে শান্তি বজায় থাকাটা খুব জরুরী। আজকাল নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগ। ছেলে বৌমার ঝগড়ার রেশ শ্বশুর শ্বাশুড়ি অবধি পৌঁছে যায়। আর এই বিষয়টা তিনি চাননি। বরং ছেলে বৌমাকে আলাদা করে নিজেদের সংসারের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পুরনো ধ্যান ধারণা ছেড়ে বেরিয়ে আসাটা যে কতটা প্রয়ওজন সেটা তিনি ভালোই বুঝেছেন।

আরও পড়ুন : মহালয়ায় মহা ধামাকা, দেব-সৃজার সঙ্গে ব়্যাম্প ওয়াকে মাতলেন সৌরভ! ভাইরাল ভিডিও

এইদিন তো মিঠু এটাও জানালেন যে, তিনি কোনোদিনই ভালো শ্বাশুড়ি হওয়ার জন্য আলাদা করে কিছু করেননি। বরং তিনি যেমন, বৌমাদের সামনে নিজেকে সেভাবেই মেলে ধরেছেন। এতে তাকে আলাদা করে সংসারের ঝুট ঝামেলা পোহাতে হয়না। ছেলে বৌমারাও নিয়ম করে তাদের কাছে আসেন। তারা দুজনেও ছেলে বৌমার বাড়ি বেড়াতে যান। উল্লেখ্য, গৌরবের স্ত্রী ঋদ্ধিমা বছর খানেক আগেই মাকে হারিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সেই জায়গা তিনি কখনোই নিতে পারবেননা। তবে যতটুকু স্নেহ মমতা তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব সেই সবটা দিয়ে ঋদ্ধিমাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন তিনি।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর