স্বজনপোষণ সব জায়গাতেই আছে, আমি সিনেমা বানালে আমার ছেলেকেই তো আগে সুযোগ দেব: সব্যসাচী

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অবসর নেওয়ার কথা বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty)। বাংলাদেশে গিয়ে সেখানকার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনি বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও পরে সব্যসাচী দাবি করেন, তাঁর মুখে অবসরের কথাটা এক রকম বসিয়েই দেওয়া হয়েছিল। এবার বাংলাহান্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেও একই কথা বললেন সব্যসাচী।

এখনো পুরোপুরি অবসর নেননি, কাজটা কমিয়ে দিয়েছেন শুধু, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সব্যসাচী। করোনা হওয়ার পর থেকে কিছুটা দুর্বলতা রয়ে গিয়েছে। তাই কাজের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। সব্যসাচী মানেই এখনো বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ‘ফেলুদা’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর তিনিই এই চরিত্রটিকে যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পর্দায়।

sabyasachi chakraborty

কিন্তু সব্যসাচী এদিন জানান, ফেলুদা চরিত্রটির প্রভাব তাঁর উপরে পড়েনি। বই পড়েই চরিত্রটির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিনেমা করতে গিয়ে দেখলেন বইয়ের অধিকাংশটাই অভিনয়ে ফুটিয়েই তুলতে পারেননি, মত সব্যসাচীর। তবে ফেলুদা চরিত্রে সব্যসাচীর ডেবিউয়ের ঘটনাটা অনেকেই জানেন না।

বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, প্রথমে তিনি ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের কাছেই দরবার করেছিলেন। তখন পরিচালক ফেলুদার ছবি তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সব্যসাচী প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁরা কি একটা সুযোগ পাবেন না? উত্তরে কিংবদন্তি পরিচালক বলেছিলেন, তিনি আর ফেলুদা করছেন না। তাঁর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।

শেষমেষ ১৯৯৬ সালে নতুন করে আসে ফেলুদা। পরিচালক সন্দীপ রায়, ফেলুদার ভূমিকায় সব্যসাচী। তারপর থেকে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বয়সের কারণে ফেলুদা হিসাবে অবসর নিলেও পরবর্তী প্রজন্মকেও এগিয়ে রাখলেন অভিনেতা।

sabyasachi chakraborty

সত্যজিতের পর ফেলুদার দায়ভার নিয়েছেন সন্দীপ রায়। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে স্বজনপোষণ ইস্যু। টলিউডেও কি স্বজনপোষণ আছে? সব্যসাচীর তৎক্ষণাৎ উত্তর, ‘স্বজনপোষণ সবাই করে, আমিও করব। এখন যদি একটা নতুন ছবি করি, আমি আগে আমার ছেলেকেই তো সুযোগ দেব।’

সব্যসাচীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, এখন যেভাবে অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে আসছেন। তাঁকেও কি কখনো রাজনীতিতে দেখা যাবে? অভিনেতা উত্তর দেন, তিনি রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। তাই আসার ইচ্ছাও নেই। এখন রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে দুর্নীতি। তাতে আবার নাম জড়াচ্ছে অভিনেতা অভিনেত্রীদের।

তবে সব্যসাচীর কথায়, দুর্নীতি সব জায়গায় আছে। রাজনীতিতে তাঁরা একটু পপুলার বলে তাঁদের নিয়ে বেশি মাতামাতি হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতি সর্বত্রই আছে বলে মনে করেন সব্যসাচী।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর