বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) এবং সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury), এই দুটো নাম একটানা সংবাদ শিরোনামে থেকেছে বিগত কয়েক দিন ধরে। গত কয়েক বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে ছায়ার মতো জুড়ে ছিলেন দুজন। বিশেষ করে গত বছর ঐন্দ্রিলার দ্বিতীয় বার ক্যানসার ধরা পড়ার পর সর্বক্ষণ তাঁকে আগলে আগলে রেখেছিলেন সব্যসাচী। রবিবার চিরদিনের মতো বিচ্ছেদ হয়ে গেল তাঁদের। সব্যসাচীকে একা করে দিয়ে পরপারের উদ্দেশে পাড়ি দিলেন ঐন্দ্রিলা।
গত বছরের শেষেই দ্বিতীয় বার ক্যানসারকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিলেন লড়াকু মেয়ে ঐন্দ্রিলা। কাজও শুরু করেছিলেন আবার। নিয়মিত অভিনয় করছিলেন তিনি। সুস্থই ছিলেন ঐন্দ্রিলা। নতুন প্রোজেক্টও শুরু করতে যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই সব কিছু কেমন বদলে গেল।
গত ১ লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। সঙ্গে সঙ্গে হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গে সব্যসাচী নিজেও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। সেই প্রথম দিন থেকেই হাসপাতালকেই নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন সব্যসাচী। শেষ দিন পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার পাশেই ছিলেন তিনি। শেষযাত্রাতেও তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন সব্যসাচী।
অভিনেত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, হাসপাতালে নাকি পাথরের মতো বসেছিলেন সব্যসাচী। জলস্পর্শ করেননি। ঠায় চেয়ে বসেছিলেন ঐন্দ্রিলার নিস্প্রাণ দেহের দিকে। হাসপাতাল থেকে কুদঘাটে অভিনেত্রীর বাড়িতে আসার সময়ে শববাহী গাড়ির সামনেই বসেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু তাঁর মুখে কোনো কথা শোনা যায়নি।
কিন্তু কুদঘাটে অ্যাপার্টমেন্টের নীচে ঐন্দ্রিলাকে শেষ সাজে সাজানোর সময়ে কোথাও দেখা যায়নি সব্যসাচীকে। বোনকে শেষবার মেকআপ দিয়ে সাজিয়ে দেন দিদি। টেকনিশিয়ান স্টুডিওতেও ঐন্দ্রিলার মরদেহের পাশে দেখা যায়নি সব্যসাচীকে। দূরে এক কোণায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ঐন্দ্রিলার শেষকৃত্যে তিনি সঙ্গী হয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, ঐন্দ্রিলার কপালে চন্দন পরিয়ে দিচ্ছেন সব্যসাচী। পাশেই বসে প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। ঐন্দ্রিলার পায়ের পাতায় শেষ চুম্বন করে তাঁকে বিদায় জানান সব্যসাচী। ভিডিও দেখে চোখের জল বাঁধ মানছে না নেটিজেনদের।