প্রাপ্তি! মরণোত্তর সম্মান পেলেন প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা, সব্যসাচী বললেন … কষ্টের, কিন্তু …

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অসাধারণ অভিনয় করে জিতেছিলেন দর্শকের মন। এর সাথে তাঁর মিষ্টি হাসির দিওয়ানা ছিলেন অনুরাগীরা। গোটা বাংলার কাছে তাঁর পরিচিতি ছিল ‘ফাইটার’ হিসেবে। দুই দুইবার মারণ রোগ মাথা নুইয়েছিল ২৪ বছর বয়সী মেয়েটির অদম্য জেদের কাছে। কিন্তু তৃতীয় বার তাকে হার মানতেই হয়। আমরা আজ বলছি লড়াকু মেয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) কথা।

তাঁর ‘ফাইট’ ভোলেননি দর্শকরা, সে লড়াই ভোলারও নয়। দীর্ঘ যুদ্ধের পর গত বছর ২০ নভেম্বর সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর সেই লড়াইকে সম্মান জানানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীকে মরণোত্তর বিশেষ কৃতী সম্মান প্রদান করা হয়। এইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নায়িকার বাবা-মা।

এইদিনের অনুষ্ঠানে মোট ৬৬ জনকে সম্মান জানানো হয়েছে। অন্যান্য সমস্ত পুরস্কারের পাশাপাশি আজীবন এবং মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে শিল্পীদের। তারমধ্যে একজন হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। জানা যায় অভিনেত্রী অনেক ছোট থেকেই কর্কট রোগের সঙ্গে লড়ছিলেন। সেই লড়াই জিতেও ফিরেছিলেন তিনি। এরপরেই শুরু হয় গ্ল্যামার দুনিয়ার যাত্রা।

আরও পড়ুন : ‘খালি তিন তিনবার বিয়ে, আর কূটকচালি…’ বাংলা সিরিয়ালের ট্রেন্ড নিয়ে বিষ্ফোরক মমতা

একটার পর একটা হিট সিরিয়াল, সাফল্য, নাম খ্যাতি, যশ উপচে পড়ছিল সব। তবে গত বছর হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বহরমপুরের এই মেয়ে। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর এই লড়াইয়ে পাশে ছিলেন তার বাবা মা পরিবার এবং বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। পরিবারের পাশাপাশি এই অভিনেতার প্রেমিকার প্রতি সমর্পণে চোখ ভিজেছিল সাধারণ মানুষের।

আরও পড়ুন : মেসো বা কাকা নয়, চাঁদকে কেন ‘মামা” বলেই ডাকি আমরা? ফাঁস হল আসল কারণ

তবে কোনও প্রচেষ্টাই আর সার্থক হয়নি। সবাইকে কাঁদিয়ে ঐন্দ্রিলা ইহলোক ত্যাগ করে পাড়ি দিয়েছেন পরলোকের উদ্দেশ্যে। তবে তাঁর শিল্পীসত্ত্বা ছিল আছে, থাকবে। আর শিল্পী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রাপ্তিতে মুখ খুললেন সব্যসাচী। অভিনেতা বলেন, “ ২৫ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ও চলে গেল। এর মধ্যে ও যে কটা কাজ করেছে তাতে ওকে মানুষ মনে রেখেছে। একজন শিল্পী হিসাবে এটা বিরাট প্রাপ্তি। ওর বাবা মা এসেছিলেন। এটা তাদের কাছে একদিকে যেমন কষ্টের মুহূর্ত, তেমন গর্বেরও বটে।”

img 20221120 wa0089

মূখ্যমন্ত্রীও সব্যসাচীর প্রশংসা করে বলেন, “রামপ্রসাদ সব্যসাচীর তুলনা হয় না”। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখে নিজের নাম শুনে খুশিই হয়েছেন অভিনেতা। সব্যসাচীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার চরম ব্যস্ততার মধ্যেও যে আমার কাজ দেখেছেন এবং মনে রেখেছেন তা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।”

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর