বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) অসুস্থ থাকাকালীনই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এখন তাঁর মৃত্যুর পর ইউটিউবারদের একাংশের কার্যত পোয়াবারো। ভুয়ো খবর, গুজবে কান পাতা দায় নেটপাড়ায়। ঐন্দ্রিলা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ত্যাগ করেছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরীও (Sabyasachi Chowdhury)। ফলত তাঁকে নিয়ে মনগড়া খবর, ভিডিও ক্রমেই মাত্রা ছাড়াচ্ছে।
১ লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ঐন্দ্রিলা। টানা ২০ দিন অমানুষিক লড়াইয়ের পর হাওড়ার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাহ ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর দিন দুয়েক আগে হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সব্যসাচী বারবার আবেদন করেছিলেন, গুজব না ছড়াতে।
কিন্তু সেই ভুয়ো খবরই যে সত্যি হয়ে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। এবার সব্যসাচীর সঙ্গেও ঘটল একই ঘটনা। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের তরফে দাবি করা হয়, প্রয়াত ঐন্দ্রিলার ব্যাপারে বলতে গিয়ে সব্যসাচী নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। খবরের সত্য মিথ্যা বিচার করতে এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয় অভিনেতার সঙ্গে।
এক লাইনের উত্তরে কার্যত বোমা ফাটান সব্যসাচী। তিনি বলেন, ‘ইউটিউবের সৌজন্যে দিন কয়েক আগে নাকি আমিও মারা গিয়েছি’! এর বেশি আর একটিও শব্দ খরচ করেননি সব্যসাচী। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। ভুয়ো খবর নিয়ে সচেতন করারও প্রয়োজন মনে করছেন না সব্যসাচী। কিন্তু গুজবের দৌরাত্ম্যে তিনিও যে ক্ষুব্ধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৌরভ দাস আগেই জানিয়েছিলেন, আর কোনোদিন লিখবেন না অভিনেতা। ঐন্দ্রিলা ভালবাসতেন বলেই কলম ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু এখন ঐন্দ্রিলা নেই, লেখার তাগিদও নেই সব্যসাচীর। সোশ্যাল মিডিয়ার ভিড় থেকে দূরে ঐন্দ্রিলার স্মৃতি নিজের মনেই রাখতে চান তিনি।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই