বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথা দিয়েছিলেন, নিজে হাতে করে নিয়ে এসেছেন। নিজে হাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। অন্যথা হবে না। কথা রাখতে পারলেন না সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) ফিরলেন ঠিকই, তবে প্রাণহীন হয়ে। ২০ দিনের দিন লড়াই থামল অভিনেত্রীর। সমস্ত বাঁধন ছাড়িয়ে চিরশান্তির দেশে পাড়ি দিলেন ঐন্দ্রিলা।
গত ১ লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ড়য়েছিলেন অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়েছিল বিশেষ ক্যানসার। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। শনিবার রাতে ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় ঐন্দ্রিলার। রবিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছিল। দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে থেমে যায় ঐন্দ্রিলার হৃদস্পন্দন।
অভিনেত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, হাসপাতালে নাকি পাথরের মতো বসেছিলেন সব্যসাচী। জলস্পর্শ করেননি। ঠায় চেয়ে বসেছিলেন ঐন্দ্রিলার নিস্প্রাণ দেহের দিকে। হাসপাতাল থেকে কুদঘাটে অভিনেত্রীর বাড়িতে আসার সময়ে শববাহী গাড়ির সামনেই বসেছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু তাঁর মুখে কোনো কথা শোনা যায়নি।
কিন্তু কুদঘাটে অ্যাপার্টমেন্টের নীচে ঐন্দ্রিলাকে শেষ সাজে সাজানোর সময়ে কোথাও দেখা যায়নি সব্যসাচীকে। বোনকে শেষবার মেকআপ দিয়ে সাজিয়ে দেন দিদি। টেকনিশিয়ান স্টুডিওতেও ঐন্দ্রিলার মরদেহের পাশে দেখা যায়নি সব্যসাচীকে। দূরে এক কোণায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ঐন্দ্রিলার শেষকৃত্যে তিনি সঙ্গী হবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ঐন্দ্রিলা দ্বিতীয় বার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সময়ে প্রথম থেকেই পাশে ছিলেন সব্যসাচী। তাঁকে আগলে আগলে রেখেছিলেন। ঐন্দ্রিলা বাড়ি ফেরার পর তাঁর ঘরের বাইরে ঠায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল সব্যসাচীকে। সেই মানুষটাকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গেই থাকবেন সব্যসাচী।