তাদের গল্পটা অনেকটা এক, তাই বিশ্বজয়ের দিনে মেসিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি সচিন

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: তাদের গল্পটা অনেকটা একই রকম। দুজনেই এর আগে নিজের দেশকে একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। নিজেরা ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলার পর ফাইনালে দুজনেই ব্যর্থ হয়েছিলেন। প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে হেরে সেদিন বিশ্বকাপও হাতছাড়া হয়েছিল তাদের দেশের।

তারপর তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ৮ বছর। মাঝে আবারও একটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তারা কিন্তু সেই বিশ্বকাপে নিজেদের এবং নিজেদের দলের পারফরম্যান্সের কথা একেবারেই মনে রাখতে চাইবেন না দুই তারকা। কিন্তু তার পরেরবার আর দল হতাশ করেনি তাদের। নিজেরা তো ছন্দে ছিলেনই সেইসঙ্গে দলের বাকি খেলোয়াড়রা তার স্বপ্নপূরণ করতে নিজেদের সবটা উজাড় করে দিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ বিশ্বকাপ হাতে তোলার সৌভাগ্য হয়েছে সচিন টেন্ডুলকার এবং লিওনেল মেসির।

২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বপ্নভঙ্গের আট বছর পর ২০১১-তে নিজের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় করে সেই ক্ষতয় প্রলেপ লাগানোর সুযোগ পেয়েছিলেন সচিন। একই রকম ভাবে ২০১৪তে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মাটিতে জার্মানির কাছে হেরে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সম্মান হাতছাড়া হলেও ২০২২ সালে কাতারের মাটিতে সেই সম্মান পুনরুদ্ধার করেছেন লিও মেসি। সচিনের স্বপ্নপূরণ করতে সাহায্য করেছিলেন গম্ভীর, যুবরাজ, জাহির খানরা। মেসির স্বপ্নপূরণে বড় ভূমিকা নিলেন আলভারেজ, এমি মার্টিনেজ, দি মারিয়ারা।

মেসি হয়তো সচিনকে চেনেন না। ক্রিকেট খেলাটি সম্পর্কেই হয়তো খুব ভালো ধারণা নেই আর্জেন্টাইন মহাতারকার। কিন্তু ফুটবল বিশ্বের সেরা তারকাকে খুব ভালো মতোই চেনেন সচিন এবং মেসি হলেন সচিনের প্রিয় ফুটবলার। তাই এই বিশেষ মুহূর্তে মেসিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি ক্রিকেটের ঈশ্বর।

সচিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছেন, “লিও মেসির জন্য এটা করায় আর্জেন্টিনাকে অনেক অভিনন্দন! তারা যেভাবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল সেখান থেকে এই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন এককথায় অসাধারন। অতিরিক্ত সময়ের শেষের দিকে অসাধারণ সেভের জন্য এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নাম উল্লেখ করতেই হবে। এটা আমার কাছে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে আর্জেন্টিনা এটা জিতবে।”

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর