বিসিসিআইয়ের অদূরদর্শিতায় অজস্র শতরান মিস করেছিলেন সচিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সচিন তেন্ডুলকর। ভারতে ঈশ্বরের পর যাঁকে স্মরণ করেন দেশবাসি। শনিবার আটচল্লিশে পা দিলেন তিনি।ভারতীয় ক্রিকেটকে আমূল বদলে দেওয়ার মসিহা ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল জন্ম নিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে ক্রিকেটকে আলবিদা জানালেও মাস্টারকে একইরকম ভালোবাসেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে ক্রিকেটজীবনে প্রাপ্তির কোঠা প্রায় পূর্ণ হলেও, অপ্রাপ্তির ভাঁড়ারও রয়েছে বেশ খানিকটা।একজন ব্যাটসম্যান কতটা মহান তার বিচার হয় বোধহয় পাঁচদিনের ক্রিকেট দিয়ে।টেস্টে শতরানের বিচারে সচিনের ধারে কাছে নেই কোনও খেলোয়াড়। তবে বিসিসিআই দূরদর্শিতার অভাবে আরও অনেক শতরান মিস করেছিলেন লিটল মাস্টার।

পরিসংখ্যান বলছে ১৯৯৪ থেকে ২০০২-এই ন’টা বছর সচিনের কেরিয়ারে সেরা সময়।এরপর ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্তও মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারে একটা ভালো সময় গিয়েছে।কিন্তু নব্বইয়ের দশকের ওই সময়টাই সচিনের কেরিয়ারে সেরা সময়।কিন্তু বিসিসিআইয়ের বদ্যানতাতে টেস্টে শতরানের সংখ্যা বাড়েনি সচিনের।

ওই সময় বিসিসিআইয়ের লক্ষ্য ছিল যত বেশি সম্ভব একদিনের ম্যাচ খেলা।ওই সময় সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছিলেন মার্ক ওয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৯৭টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ৪১.৬১ গড়ে ১৫টি শতরানসহ ৬,১১৭ রান করেছিলেন তিনি। সেখানে সচিন ৭৭ টেস্ট খেলে ষাটের উপর গড়ে ৭,০৮৬ রান করেছিলেন। শতরান ছিল ২৫।

শতরান ও মোট রানের ব্যাপারে সচিনের ঠিক পরে ছিলেন স্টিভ ওয়া। তবে মাস্টার ব্লাস্টারের থেকে ১৭টি টেস্ট বেশি খেলেছিলেন তিনি। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এই নটা বছরে ৫৮টি শতরানসহ ১৬,৯৫১ রান করেছিলেন সচিন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্ক ওয়া প্রায় ৪০০০ রান ও ২৭টি শতরান পিছনে ছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় বিসিসিআইয়ের দূরদর্শিতার কারণে আরও অজস্ব টেস্ট শতরান মিস করেছিলেন সচিন।

২৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে ভালো-খারাপ, দুটি সময়ের সাক্ষী থেকেছেন সচিন। ২০০৭ থেকে ১১, এই সময়ে টেস্ট কেরিয়ারে একনম্বর র্যা ঙ্কিংয়ে পৌঁছেছিলেন তিনি।কিন্তু নব্বইয়ের ফর্ম বোধহয় আরও ফেরত পাননি তিনি। যা তাঁকে বানিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের মেগাস্টার।

 


Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর