পশ্চিমবঙ্গের (west bengal) হলদিয়া থেকে একটা নৃশংস খবর সামনে এসেছিল যা এখন নতুন মোড় নিচ্ছে। হলদিয়ায় দুই মহিলার পোড়া লাশ মিলেছিল। পরে জানা যায় ওই দুই মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। রিয়া দে ও তার মা পুড়িয়ে মারার খবর এসেছিল। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী প্রেমের সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হল প্রেমিকা রিয়া দে ও তার মাকে। যদিও অনেকে এটাকে লাভ জিহাদ বলেও আখ্যায়িত করেছে। মৃত্যুর পর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী পুলিশ। দুজনেই (মা ও মেয়ে) দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারী বিকালে শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার রূপনারায়ণের তীরে ঝিকুরখালিতে দুজন মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ হতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। দূর্গাচক থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে জল দিয়ে আগুন নেভায়। অগ্নিদগ্ধ দুজন ব্যক্তি মহিলা বলে দেখা যায়। তাঁদের শরীররে বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসে ফরেনসিক টিম। দেহ দু’টির ময়নাতদন্তের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঠানো হয়। পুলিশ আশপাশটা ভালো করে খুঁজে দেখে এবং নমুনা সংগ্রহ করে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে রিয়া দে ও রমা দের পরিচয় জানা যায়। শেখ সাদ্দাম হোসেন ও মঞ্জুর আলম মল্লিক নামের দুই জনকে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখন এই ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির তরফ থেকে একটা বড়ো অভিযোগ সামনে এসেছে!
দাবি করা হচ্ছে শেখ সাদ্দাম হোসেন ও মঞ্জুর আলম পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সদস্য। তৃণমূল নেতার সাথে এক যুবকের ছবি দেখা যাচ্ছে এবং ওই যুবককে শেখ সাদ্দাম হোসেন বলে জানা যাচ্ছে। কিছুজন দাবি করেছেন এরা নির্বাচনের সময় ছাপ্পা করতে গিয়েও ধরা পড়েছিল। বঙ্গবিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন অভিযুক্ত মন্ত্রী শুভেন্দুর ডান হাত। এরাই ভোট চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনকানুন আছে কিনা সেই নিয়ে বার বার সন্দেহ তৈরি হয়।