বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেলা মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) ২০২৫। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই মেলা থেকে ব্যাপক চর্চায় রয়েছে একটা নাম। তিনি হলেন সাধ্বী হর্ষা রিচারিয়া (Harsha Richhariya)। এই মহাকুম্ভ থেকেই তিনি রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে উঠেছেন। মাথায় একঢালা চুল,ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি নিয়ে বছর তিরিশের এই সাধ্বীর সৌন্দর্য যেন একেবারে উপচে পড়ছে। তাঁকে মহাকুম্ভ ২০২৫-এর সবচেয়ে সুন্দরী বলেই দাবি করছেন অনেকে।
সামনে এল মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) সুন্দরী সাধ্বীর পরিচয়
নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, এবং সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) এই সাধ্বী। বছর তিরিশের এই তরুণী একসময় মডেলিং-এর পাশাপাশি চুটিয়ে শো হোস্ট করেছেন। কিন্তু এই বয়সেই সংসারের সমস্ত মায়া ত্যাগ করে তিনি বেছে নিয়েছেন এক সন্ন্যাসিনীর জীবন। উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা হর্ষা রিচারিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন তিনি নিরঞ্জনী আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী শ্রী কৈলাশনান্দগিরি জি মহারাজের শিষ্যা।
সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তাঁর অনেক ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। কিন্তু এত সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও এই বয়সেই কেন একজন সাধ্বীর জীবন বেছে নিয়েছেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, সাধ্বী হয়ে তিনি জীবনে অনেক শান্তি পাচ্ছেন। দু’বছর আগে শান্তি খুঁজতেই এই বেশ ধারণ করেছিলেন তিনি। তাই স্টারডম আর গ্ল্যামার ছেড়ে এখন তিনি আধ্যাত্মিক জগতেই মন দিয়েছেন হর্ষা।
আরও পড়ুন: বিরাট পদক্ষেপ নবান্নের! এদের আবাস প্রকল্পের টাকা ফিরিয়ে নিচ্ছে রাজ্য, হৈচৈ শুরু
মহাকুম্ভ (Maha Kumbh) মেলা থেকে ঝড় তুলে দেওয়া হর্ষা রিচারিয়ার সম্পর্কে উঠে আছে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গত বছর আগস্ট মাসে কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া আরজিকার কান্ড তোলপাড় হয়েছিল সারাদেশ। কলকাতায় তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছিল সকলে। কলকাতার পাশাপাশি ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন আসমুদ্র হিমাচল সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। সেই সময় ওই ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদে নেমেছিলেন এই সাধ্বীও। কলকাতার তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন তিনিও।
View this post on Instagram
মোমবাতি জ্বালিয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে হর্ষার সেই ভিডিও রয়েছে এখনও। নিজেকে সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়া হর্ষা সেসময় সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রত্যেকটা পুরুষ যেন এগিয়ে আসেন এবং প্রত্যেকে যেন প্রতিজ্ঞা করেন এই দেশে যেন আর কোনও ধর্ষণের ঘটনা না ঘটে। একই সাথে তিনি আমাদের দেশের প্রত্যেকটি ছেলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাখি বন্ধনে বোনকে কোন উপহার না দিয়ে বরং প্রতিজ্ঞা করুন, যে ভাবে নিজের বোনকে রক্ষা করেন, সেভাবেই দেশের প্রতিটা নারীকে রক্ষা করবেন।